আমি বিস্মিত হয়েছি শ্যামাপ্রসাদ ঘোষের লেখার বিষয় তপন বাগচীর শিশুসাহিত্য জেনে। তপনকে কবি আর প্রাবন্ধিক হিসেবেই জানি। কবি হিসেবে তার সময়ের উন্লেখযোগা নাম। বিশেষ করে নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্পের মাধ্যমে ধাদের কাব্যোথান ঘটে, তপন বাগচী তাদের অগ্রসারির একজন । কিন্তু তার শিশুসাহিত্য নিয়ে পুরোদস্তর একটা বই হতে পারে, আমার সেই ধারণ ছিল না। আমি শ্যামাপ্রসাদ ঘোষকে সাধুবাদ জানাবো, এই অকর্ষিত বিষয়ে আলো ফেলবার জন্য । শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ আমাদের বাংলাদেশের তপন বাগচীর শিশুসাহিত্যের প্রতিটি রচনা খুঁটিয়ে-খুঁটিয়ে পড়েছেন । পড়ে আলোচনা করেছেন। নিজের ভাল লাগার অনুভৃতিটুকু প্রকাশ করেছেন। একজন অনুজের সাহিত্য নিয়ে অগ্রজের এই সমালোচনাগস্থ রচনার রেওয়াজ বাংলাসাহিত্যে খুব বেশি নেই। এতে শ্যামাপ্রসাদের ওঁদার্য যেমন প্রকাশিত, তেমনি তপন বাগচীর সাহিত্যিক গুরুতৃও প্রবর্ধিত হলো। একজন সম্পাদক ও সাহিত্যিক যখন তার পরবর্তী প্রজন্মের একজন সাহিত্যিককে নিয়ে আলোচনা করতে গেছেন, তখন বোঝাই যায় যে, তিনি বুঝে-শুনেই অগ্রসর হয়েছেন। আমাদের তখন অভিনন্দন জানানো ছাড়া আর কিছু বলার অপেক্ষা করে না। মুহম্মদ নূরুল হুদা কবি ও সভাপতি, বাংলাদেশ রাইটার্স কাব, ঢাকা