জিন নিয়ে সমাজে হাজারো রূপকথার প্রচলন রয়েছে। রয়েছে জিনের অস্তিত্ব নিয়েও নানান প্রশ্ন। সৃষ্টিকুলের সবকিছুতে পূর্ণবিশ্বাস থাকলেও জিনের অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই—এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ফলে বছরের পর বছর দুষ্ট জিনের নোংরা আক্রমণের শিকার হয়েও নির্ণয় করতে পারে না—মূলত সমস্যাটা কীসের? . জিন জাদু ও নজর—সমাজের এক বাস্তব সমস্যা। এই আদি সমস্যা থেকে বাঁচতে নির্দ্বিধায় শরিয়তবিরোধি কুফুরি কাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যাই বেশি। কোনো ধরনের তাবিজ-কবচ ও কুফুরি কালামের আশ্রয় গ্রহণ ছাড়া সম্পূর্ণ কুরআনের আলোকে জিন-শয়তানের কবল থেকে যে স্থায়ী মুক্তি পাওয়া যায়, তার এক অনুপম উদাহরণ সৃষ্টি করেছে আল্লামা মোস্তফা নোমানী রচিত– ‘জিন জাদু নজর‘ বইটি। . বইটিকে মোট চারটি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে রয়েছে, জিন সম্পর্কে অবগতি ও তাদের যাপিত জীবন সম্পর্কে বিস্তর আলোচনা এবং জিনগ্রস্ত রোগীর আলামত ও চিকিৎসা। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে, জাদুগ্রস্ত রোগীর আলামত, জাদুকরের জিন হাজির করার ১০ তরিকা এবং জাদু থেকে বাঁচার আমল। তৃতীয় অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে, বদ নজর সম্পর্কে অবগতি, হিংসা ও বদনজরের আলামত এবং বদ নজর থেকে বাঁচার আমল। চতুর্থ অধ্যায়ে আনা হয়েছে, রুকইয়া-সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় সুরা ও আয়াত। এ বইয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে রোগীকেই চিকিৎসক হতে উৎসাহিত করা হয়েছে এবং উপায় বলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ বইয়ের মাধ্যম অগণিত রোগী কারো দ্বারস্থ হওয়া ছাড়াই আরোগ্য লাভে সক্ষম হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, বইটি আপনাকে জিন ও শয়তানের যাবতীয় অনিষ্ট থেকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হবে, ইনশা-আল্লাহ। .