স্মৃতিকথা শুধু স্মৃতিকথা নয়, কখনো তা নিজের অলক্ষ্যে হয়ে ওঠে ইতিহাসের অন্যতম উপাদান; আর যে স্মৃতিকথা মনীষীদের জীবনীতে পরিণত হয়, নিঃসন্দেহে তার আবেদন ও গুরুত্ব বহুমুখী। মাওলানা আবদুল্লাহ বিন সাঈদ জালালাবাদী একদিকে যেমন বঙ্গবন্ধুর একান্ত নিকটজন এবং বিশ্বের বিখ্যাত বহু মনীষীর অন্তঃজন, তেমনি প্রত্যন্ত গ্রামে খ্যাতি ও প্রচারণার আড়ালে পড়ে থাকা বহু মনীষীও তাঁর সুহৃদ। নিজের স্মৃতিকথনে তিনি এমন দুই মনীষীর জীবনবৃত্তান্ত উল্লেখ করেছেন, যাদের সাধনা ও শিক্ষা বাঙালি মুসলমানের ইতিহাসের আমানত। মহান এই দুই বুজুর্গ হলেন হাজী কালা শাহ রহ. ও হাজী আজিজুর রহমান রহ.। বাংলায় ইসলামের বিস্তার ও সামাজিক জীবনে ইসলামের বিকাশের প্রথম দিকে যেমন সুফিদের অবদান ছিলো, তেমনি আধুনিক কালেও সেই অবদান বিদ্যমান। একালে ব্রিটিশ আধিপত্য, বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ, হিন্দু জমিদারদের শোষণ এবং অশিক্ষা ও কুসংস্কারে জর্জরিত মুসলিমদের ইসলামের শিক্ষা ও আদর্শে উজ্জীবিত ও পরিচালিত করতে সুফিদের সাধনা অবিস্মরণীয়। এ গ্রন্থে উল্লেখিত দুই সুফির জীবনে সেই সাধনার নজির এতো উজ্জ্বল, যা কেবল প্রাচীন যুগের মহান সাধকদের সাথেই তুলনা করা যায়। এ গ্রন্থপাঠে কেবল দুই সাধককেই জানা হবে না, সাথে সাথে স্পষ্ট হবে তাসাউফের জরুরি নীতিমালা ও কর্মপন্থা।
মাওলানা আবদুল্লাহ্ বিন সাঈদ জালালাবাদী আল-আযহারী প্রথম সভাপতি, বাংলাদেশ জমিয়তুল মুদাররিসিন ও সদস্য, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (১৯৭২) সদস্য, ইসলামী বিশ্বকোষ ও সিরাত বিশ্বকোষ সম্পাদনা পরিষদ