খাদিজা কে? ... তার পরিচয় বলে শেষ করা যাবে না। খুব সংক্ষেপে বললে তাকে এভাবে প্রকাশ করা যেতে পারে— এক. সবার আগে তিনি ইসলাম কবুল করেছেন। প্রথম উম্মুল মুমিনীন তিনি। সত্য ও সততা মিশে ছিলো সেই জাহেলি যুগেও তার সব কাজে। সব কথায়। তার সখ্য ছিলো তাওহিদপন্থী ‘হানাফিদের’ সাথে, যাদের ভেতরে চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ছিলেন সবার শীর্ষে। সব সময় তিনি সত্য ও সুন্দরের খেঁাজে ব্যাকুল থাকতেন। আল্লাহর নবীকে এভাবেই বুঝি তিনি খুঁজে খুঁজে বের করেছিলেন! দুই. আহলে বাইত বা নবী পরিবারের তিনিই উৎস। একমাত্র উৎস। কেননা, তার গর্ভেই জন্ম গ্রহণ করেছেন নবীজির সব সন্তান। কাসেম। যায়নাব। উম্মু কুলসুম। রোকাইয়া। ফাতেমা। আবদুল্লাহ। তিন. তার বুদ্ধি ছিলো। ছিলো প্রজ্ঞা। আরও ছিলো বাণিজ্যজ্ঞান। মা হিসাবে ছিলো সন্তান প্রতিপালনের অসাধারণ সব গুণ। জাহেলি যুগের আঁধারেও কোনো আঁধার তার আলোর আকাশ আচ্ছন্ন করতে পারে নি। ইসলাম আসার আগেই যেনো তিনি বাস করেছেন ইসলামের ছায়ায়। ‘তাহিরা’ উপাধীতে ভূষিত হওয়ার রহস্য কি এখানেই? দু—দুবার বিবাহ হলেও নতুন প্রস্তাব এসেছে অনেক। কিন্তু আল্লাহর কী লীলা, তিনি শুধু এড়িয়েই গেছেন শেষনবীকে ‘হঁ্যা’ বলার জন্যে! অমন সৌভাগ্য নিয়ে কে জন্মায়? চার. মাটির মানবী তিনি। তবুও সালাম পেয়েছেন নূর—আকাশের পক্ষ থেকে। কী দারুণ না?! সামনে বিস্তারিত জানবে। ওই যে আসমানী বার্তাবাহক জিবরীল আমীনের মাধ্যমে আল্লাহ তাকে সালাম পাঠিয়েছিলেন এবং দিয়েছিলেন জান্নাতে তার একটি প্রাসাদের সুসংবাদ! কেমন সেই প্রাসাদ? ... এখানে তা না বললাম। সামনে তো আসছেই! পাঁচ. তার জীবন কেমন? যেনো এক ফুল বাগান। ঘ্রাণে ঘ্রাণে মৌ মৌ। তার কথা কোনো মজলিসে আলোচিত হলে সেই মজলিস হয়ে ওঠে প্রাণময়। সুবাসময়। প্রিয় প্রিয় মুহূর্তে সজীব সুন্দর। মেশক আম্বরের রাজ—সুবাসে আমোদিত। এসো বন্ধু, ভেতরে প্রবেশ করি। তার জীবন থেকে কুড়োই ফুলের পর ফুল। আর গাঁথি মালার পর মালা। -ইয়াহইয়া ইউসুফ নদভী