"বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়া" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয় তখন এদেশে গণতন্ত্রের চর্চা ছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকারি দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা আওয়ামী লীগের নীতি আদর্শ ত্যাগ করে জাসদ গঠন করলে এবং বামপন্থী অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলাে সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সােচ্চার হলে মুজিব সরকার বহুদলীয় গণতন্ত্রের কবর দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পুনরায় দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ এরশাদ গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশে সামরিক শাসন জারি করেন। এরপর দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৯ বছর রাজপথে স্বৈরাচারবিরােধী আপসহীন সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন। তাঁর নেতৃত্বে অবশেষে জনগণের আন্দোলন সফল হবার পর জনগণের রায়ে তিনি বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন। প্রধানমন্ত্রী হবার পর তিনি দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠা করেন এবং গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসাবে জনগণের ভােটে সিটি কর্পোরেশনগুলাের মেয়র নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। ১৯৯৬ সনের ১২ জুনের নির্বাচনে তল্কালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মিডিয়া কুর সহযােগিতায় ক্ষমতাসীন হয়ে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী কায়দায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে বিরােধী দলের গণতন্ত্র চর্চার পথ রুদ্ধ করে দিতে চায়। এসময় খালেদা জিয়া নব্য স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে যান। খালেদা জিয়ার স্বৈরাচারী এরশাদ ও নব্য স্বৈরাচার হাসিনাবিরােধী সংগ্রামের চিত্র এ গ্রন্থে তুলে ধরা হয়েছে। বইটি পাঠ করলে পাঠকেরা বুঝতে পারবেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ও গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে খালেদা জিয়ার অবদান কত ব্যাপক ছিল। কাউছার ইকবাল