লঙ্ঘিত মানবিকতা রুখতে পীড়নকারীর উপর অমানবিক আচরণ না করাও অমানবিক। ১৯৭১ সালে বাঙালি মানসে যে দেশপ্রেম এবং অধিকার আদায়ের জাগরণ জেগে উঠেছিল তা তুলনাহীন। দীর্ঘ শোষণ—অবদমন—নিগ্রহ নিপীড়নে যাদের স্বাভাবিক চেতনা আঘাত প্রাপ্ত হয়নি তারা জেগে ওঠেনি স্বাধীনতা যুদ্ধে। তাদের নির্মমতা—পশুত্বের প্রতিফলন ঘটেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে। যাদের পরিচয় ফুঠে উঠেছে পাকিস্তানি দোসর হিসেবে। আমরা অতিশয় নেতিবাচকতার মাধ্যমে তাদের নামগুলো হামেশায় স্মরণ করি। হানাদার হায়েনা, রাজাকার, আরবদর, আলশামস নামগুলো ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই জন্ম দেয় না আমাদের মনে। ১৯৭১ সালে অমানবিক মানুষহত্যা, অমানবিক ধর্ষণ, ডাকাতি, নিযার্তনগুলো চলেছে ধর্মের দোহায় দিয়ে। ১৯৪৭ এ দেশভাগ হয়েছিল ধর্মের দোহায় দিয়ে। বর্তমানেও সেই দোসরদের উত্তরাধিকাররা ধর্মের দোহায় দিয়ে নেতিবাচক কার্যসিদ্ধি করতে চায়। বাঙালিদের সাজাগ থাকার জন্যই জানা দরকার সেইসব নির্মমতাগুলো। যা বদরু মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানের ‘স্মৃতিশ্রম্নতি একাত্তর, বধ্যভূমির পথে পথে’ গ্রন্থে ফুটে উঠেছে। বাঙালিদের স্বাধীনতার চেতনায়ই অগ্রসর হতে হবে। সুমন শিকদার