বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানের জন্যে জীবনের সব ভালো জিনিসই চান। যেমন স্বাস্থ্য সম্পদ এবং সুখ। আজকের দ্রুত গতির বিশ্বে সেগুলো কীভাবে পাওয়া সম্ভব, স্পষ্ট করে বলা যায় না। তবে প্রশ্ন করা যায়, সেসব পেতে হলে একজন অভিভাবককে কী করতে হবে? আমরা কীভাবে বাচ্চাদের সেসব পাওয়ার নির্দেশনা দেবো, যখন নিজেরাই তা বুঝতে পারি না? সব বয়সের লোকই জীবনের সাথে ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারে, যখন তারা এর চ্যালেঞ্জ ও সুযোগগুলোর জন্যে উন্মুক্ত থাকে। সেক্ষেত্রে রক্ষণাত্মকতা ও প্রতিরোধের দিকে ঝুঁকে পড়ার পরিবর্তে আমাদের একটা ‘হ্যাঁ’ মনোভাব থাকতে হবে। ‘হ্যাঁ’ মনোভাব হলো ভারসাম্য, স্থিতিস্থাপকতা, অন্তর্দৃষ্টি ও সহানুভ‚তি নামের এই বৈশিষ্ট্যগুলো। কীভাবে আপনার সন্তানের মধ্যে এই বৈশিষ্ট্যগুলো গড়ে তোলা যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাশীল উপায় প্রদান করেছেন পেশাদার মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড্যানিয়েল জে. সিগেল এবং টিনা পেইন ব্রাইসন। এগুলো একটু অস্পষ্ট মনে হতে পারে। তবে সিগেল এবং ব্রাইসনের মতে, আপনি নিজের এবং আপনার বাচ্চাদের মধ্যে সেগুলো বিকাশের জন্য নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। এই বইটিতে বাচ্চাদের লালন পালন তথা অভিভাকত্বে তিনটি পাঠ রয়েছে : ১. অল্প বয়স থেকেই শিশুদের আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখানো ২. অন্য মানুষের দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো জিনিসকে দেখতে শেখা ৩. স্বার্থপরতা বাচ্চাদের মধ্যেও একটা সাধারণ ব্যাপার। তবে চাইলেই তা এড়ানো যায়। অভিভাবকত্ব ভীতিকর হতে পারে, বিশেষ করে আজকের তথ্যের উপচে পড়া বিশ্বে। প্রত্যেকেই মনে করে সন্তানের বিষয়ে তারা পিতামাতার দায়িত্বটা ভালোভাবেই জানেন। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, তারা সত্যি সত্যিই সব জানেন।