অনন্য যে জন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর এমন কোনো ইমামের পেছনে আমি নামাজ আদায় করিনি, যার নামাজ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামাজের সঙ্গে তোমাদের এই ইমাম তথা উমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ.-এর নামাজ থেকে অধিক সাদৃশ্যপূর্ণ। ⸻আনাস ইবনে মালেক রা. প্রতিটি গোত্রেই একজন শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি থাকেন, আর বনি উমাইয়ার শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হচ্ছেন উমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ.। কেয়ামতের দিন তিনি একাই একটি জাতি হিসাবে উঠবেন। ⸻ইমাম আবু জাফর আল-বাকের রহ. সকল আলেম উমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ.-এর সামনে তার ছাত্রতুল্য। ⸻মাইমুন ইবনে মিহরান রহ. উমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ.-এর যত পত্র আমাদের কাছে পৌঁছেছে, সেগুলোর মধ্যে হয়তো কোনো সুন্নাহকে পুনরুজ্জীবিত করা হয়েছে, অথবা কোনো বিদআতকে নির্মূল করা হয়েছে, কিংবা কোনো জুলুমকে প্রতিহত করা হয়েছে। ⸻হাসান বসরি রহ. সুপথপ্রাপ্ত খলিফা হচ্ছেন পাঁচজন। তারা হলেন, আবু বকর রা., উমর রা., উসমান রা., আলি রা. ও উমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ.। ⸻ইমাম সুফিয়ান সাওরি রহ. ও ইমাম শাফেয়ি রহ. নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এই উম্মতের জন্য প্রতি ১০০ বছরের শিরোভাগে এমন ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটাবেন, যিনি এই উম্মতের দ্বীনকে তার জন্য সঞ্জীবিত করবেন। সুতরাং প্রথম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ হিসাবে আমরা উমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ.-কেই দেখতে পাই। ⸻ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল রহ. মর্যাদার বিচারে তিনি ছিলেন উম্মাহর একক ব্যক্তি। ইনসাফের দিক থেকে তিনি ছিলেন সম্প্রদায়ের শ্রেষ্ঠজন। তার মধ্যে দুনিয়াবিমুখতা, সংযম, খোদাভীতি ও অল্পেতুষ্টির মতো মহান গুণাবলির সন্নিবেশ ঘটেছিল। পরকালের স্থায়ী জীবন তাকে অস্থায়ী ইহকাল থেকে নিবৃত্ত রেখেছে। ন্যায় প্রতিষ্ঠা তাকে নিন্দুকদের নিন্দা থেকে উদাসীন করে দিয়েছে। প্রজাদের জন্য তিনি ছিলেন প্রশান্তির ঠিকানা এবং নিরাপদ আশ্রয়। বিরুদ্ধবাদীদের মোকাবিলায় তিনি ছিলেন সুস্পষ্ট দলিল ও অকাট্য প্রমাণ। তিনি ছিলেন অত্যন্ত বাকপটু ও জ্ঞানী ব্যক্তি। ছিলেন গভীর উপলব্ধিক্ষমতা ও অসামান্য প্রজ্ঞার অধিকারী। ⸻হাফেজ আবু নুআইম রহ. উমর ইবনে আবদুল আজিজ রহ.-এর সুউচ্চ মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব, গভীর জ্ঞান ও উপযুক্ততা, দুনিয়াবিমুখতা ও খোদাভীতি, ন্যায়বিচার ও মুসলিমদের প্রতি দয়ার্দ্রতা এবং তাদের সঙ্গে তার উত্তম আচরণের বিষয়টি সর্বজনস্বীকৃত। আল্লাহ তাআলার আনুগত্যের ক্ষেত্রে তার সর্বাত্মক চেষ্টা-সাধনা, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পদাঙ্ক অনুসরণের প্রতি তার ঐকান্তিক আগ্রহ, এমনকি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদিনের আদর্শ অনুসরণের ক্ষেত্রেও তার ব্যাপারে কারও কোনো দ্বিমত নেই। ⸻ইমাম নববি রহ. তিনি হাফেজ ইমাম, মুজতাহিদ আলেম, ইবাদতগুজার ও দুনিয়াবিমুখ নেতা এবং সত্যিকার অর্থেই আমিরুল মুমিনিন। ⸻ইমাম যাহাবি রহ. তিনি ছিলেন ফকিহ ইমাম, মুজতাহিদ আলেম, সুন্নাহ সম্পর্কে সম্যক অবগত ও সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী। ছিলেন একজন কুরআনের হাফেজ, প্রমাণপুরুষ, আল্লাহ তাআলার একান্ত অনুগত, তাঁর কাছে অনুনয়বিনয়কারী ও তাঁর প্রতি মনোনিবেশকারী। উত্তম চরিত্র ও ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে তাকে তার পূর্বপুরুষ উমর রা.-এর সঙ্গে তুলনা করা হয়। দুনিয়াবিমুখতার ক্ষেত্রে তাকে হাসান বসরি রহ. এবং ইলমের ক্ষেত্রে ইমাম যুহরি রহ.-এর সারিতে গণ্য করা হয়। ⸻ইমাম যাহাবি রহ.