চাঁদশী-বরিশাল-বাংলা তথা ভারতবর্ষে, যাঁর নামের পাশে অনেক ক্ষেত্রে প্রথমা’র আসন আজো সুরক্ষিত, তিনি এক মহিয়সী বঙ্গরমণী-ডা. কাদম্বিনী বসু, বিয়ের পর কাদম্বিনী গাঙ্গুলী। পৈত্রিক নিবাস বরিশালের গৌরনদীর চাঁদশী। তাঁর জন্ম ১৮৬১ খ্রিস্টাব্দে, মৃত্যু ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে। জীবনকাল ৬২ বছর। না ফেরার দেশে চলে যাবার পরও চলে গিয়েছে আরো ৯৯ বছর। ডা. কাদম্বিনী গাঙ্গুলী প্রথম বাঙালি মহিলা ডাক্তার। শুধু এই কৃতিত্ব শেষ কথা নয়। রেকর্ডের স্বর্ণকন্যা, ধ্রæপদী উপস্থাপনায় সৃষ্টি করেছেন ইতিহাসের মাইল ফলক। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এন্ট্রান্স পাশ করা প্রথম মহিলা (১৮৭৯), এফএ পাশ করা দুইজন মহিলার মধ্যে তিনি একজন। সমগ্র ভারতবর্ষে তথা ব্রিটিশ সা¤্রাজ্যে তিনি ও চন্দ্রমুখী বসু, প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট (১৮৮২)। বিলাত থেকে ট্রিপল ডিগ্রি আনা প্রথম বাঙালি মহিলা চিকিৎসক তিনি। ডা. কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর তুলনা ডা. কাদম্বিনী গাঙ্গুলী। ডা. কাদম্বিনী বরিশালের মেয়ে হলেও, এই বাংলার গর্ব হলেও বাংলাদেশে তাঁকে নিয়ে আজো কোনো বই প্রকাশিত হয়নি। ড. মোহাম্মদ আলী খানের গবেষণাগ্রন্থ ‘প্রথম বাঙালি মহিলা চিকিৎসক ডা. কাদম্বিনী গাঙ্গুলী’-এই মহিয়সী নারীকে কাছে থেকে দেখার সুযোগ করে দিবে।