বৃষ্টি শেষে রংধনু দেখা যায় আকাশে। এই রংধনুর মধ্যে সাতটি রং থাকে। শিশু-কিশোররা যখন আকাশে রংধনু দেখে তখন তারা এক কাল্পনিক জগতে চলে যায়। একটা অদ্ভুত অনুভ‚তি ঘিরে ধরে তাদের শরীর ও মনকে। অনেকের এই রংধনু দেখা ভালো লাগলেও তারা কিন্তু সব রং চিনতে পারে না বা সব রঙের নাম জানে না। যারা রং চিনতে চাও তাদের জন্য এই ‘রঙিন ছড়ায় রং পরিচয়’ বইটি একটি উপযুক্ত বই। বইটি লিখেছেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক ইসমাত মির্যা। ১৬ পৃষ্ঠার রঙিন এ বইটিতে যেসব ছড়া রয়েছে সেগুলো হলো―সাত রং, বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা, লাল, সাদা, কালো, গোলাপি, স্বচ্ছ এবং ছিটোফোঁটা শিরোনামের ছড়া। প্রথমেই প্রথম ছড়াটি পাঠ করে নেয়া যাক― স্বপ্নিল মেঘে ওড়া/রংধনু এক জোড়া বৃষ্টিতে রোদের খেলা―/সাত রং পাশাপাশি সজ্জিত রং রাশি/বে-নী-আ-স-হ-ক-লা! সাতটি রং মনে রাখার একটি সহজ পদ্ধতি হলো এই বে-নী-আ-স-হ-ক-লা! প্রতিটি রঙের প্রথম অক্ষর দিয়ে এই বে-নী-আ-স-হ-ক-লা। যেমন―বে-তে বেগুনী, নী-তে নীল, আ-তে আসমানী, স-তে সবুজ, হ-তে হলুদ, ক-তে কালো এবং ল-তে লাল। কত সহজেই রঙের নামগুলো শেখা হয়ে গেল। শুধু রঙের নামই না, প্রতিটি রং নিয়ে আছে মজার সব ছড়া। যেমন― বেগুনি বন জারুলের দারুণ ফুলে/মৌমাছিদের ভিড় বেড়ায় দোলে বেগুনি ফুল/ঝুমকো লতাটির। নীল আকাশের নীল তার রং বদলায়/সকাল দুপুর সাঁঝে; তুঁতে নীল ঝিলমিল ঢেউ দোল খায়/সুনীল সাগর মাঝে; সবুজ শীতের শেষে মিষ্টি হেসে/ফাগুন এসে ডাকে সবুজ পাতার আবরণে/শূন্য শাখা ঢাকে; বাংলা ভাষায় রং নিয়ে এমন ছড়া খুব একটা দেখা যায় না। রঙে রঙে রঙিন এসব ছড়া শিশু-কিশোর মনকে আরো রঙিন করে তুলবে। প্রথম শ্রেণি, দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের এ বইটি খুবই কাজে দেবে। সঠিকভাবে যদি রং চেনা না যায় তবে পরবর্তী সময়ে ছবি আঁকা যাবে না কিংবা পোশাক পছন্দ করা যাবে না, বিভিন্ন জিনিসপত্র কিনতে গেলে রং না চিনলে তা আর কেনা যাবে না। বর্ণমালা শেখার মতো রংও চিনতে শেখা গুরুত্বপূর্ণ। বইটি তাই সকলের হাতে হাতে থাকা চাই।