একটি দীর্ঘ ছড়ার বই ‘স্বপ্নে ভেসে পরীর দেশে’। ঝুমা নামের ছোট্ট একটি মেয়ের স্বপ্ন নিয়ে ইসমাত মির্যা লিখেছেন এ ছড়ার বইটি। ছড়াটির মধ্যে রয়েছে গল্প। মানে ঝুমা কীভাবে পরীর দেশে গেল। সেখানে কী ঘটনা ঘটল তাই নিয়েই এ ছড়া। ‘পরীর দেশে পৌঁছলো সে আকাশ দিয়ে পাড়ি থামলো এসে পথের শেষে যেখানে রাজবাড়ী।’ শৈশব-কৈশোরের এক রহস্যঘেরা চরিত্র এই পরী। লাল পরী, নীল পরী―কত যে পরীর গল্প আমাদের মন জুড়ে আছে তার কোনো হিসাব নেই। ফুটফুটে কোনো শিশু দেখলেই আমরা তাকে পরীর সাথে তুলনা করি। পরীর ডানায় চড়ে স্বপ্নে কিংবা কল্পনায় আমরা যে কত দেশ-বিদেশ ঘুরেছি। আমাদের প্রত্যেকের শিশুমন যেন আজও জীবন্ত করে রেখেছে পরীরা। ঝুমার স্বপ্নেœর পরীর দেশে দেখা পেল এক দৈত্যের। দৈত্যকে দেখে প্রথমে সে ভয়ে বাগানে লুকিয়ে যায়। কিন্তু দৈত্য তাকে অভয় দেয়। ‘দৈত্য বলে, কে তাহলে লুকায় ঝোপের আড়ে? বন্ধু হলে আয় তো চলে ভয়ে মরিস না রে!’ দৈত্য আর ঝুমার মাঝে বন্ধুত্ব জমে ওঠে। ঝুমা দৈত্যের সাথে মোবাইল ফোনে সেলফি তোলে। ঝুমাকে পারুল ফুলের তোড়া এনে দেয়। কোর্মা-পোলাও, মিষ্টিসহ নানা রকম খাবার এনে দেয়। এতে ঝুমার মন খুশিতে নেচে ওঠে। পরীর সাথে ও দৈত্যর সাথে ওর খুব ভাব জমে ওঠে। ‘আমেরিকার জবর প্রচার মঙ্গলে প্রাণ আছে পৌঁছেছে তার খবর নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে।’ এ খবর মাকে দিতে হবে ভেবে ঝুমা অস্থির হয়ে ওঠে। এ সময় মা এসে ঝুমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলে। এই মজার ছড়াটির সাথে অসাধারণ রঙিন ছবি রয়েছে। ছবিতে পরী আর দৈত্যকে দেখে একেবারে জীবন্ত মনে হবে। ইসমাত মির্যা ছোটদের জন্য লিখছেন অনেক দিন ধরে। তার লেখার জাদুকরী দক্ষতা না পাঠ করলে বোঝা যাবে না। তার লেখা অনেক ছড়া, কবিতা ও গল্পের বইয়ের মধ্যে এ বইটি উল্লেখযোগ্য। কল্পনার ডানা মেলে ছন্দে ছন্দে এমন গল্প পাঠ করার মজা পেতে হলে বইটি অবশ্যই সংগ্রহ করতে হবে। আর বইয়ের পরী ও দৈত্যের সাথে আমাদেরও বন্ধুত্ব হতে পারে স্বপ্নে।