বইয়ের নাম দেখে নিশ্চয়ই ভ্রু’টা খানিক কুঁচকে উঠেছে আপনার। এতোদিন তো জেনে এসেছেন ‘কনটেন্ট ইজ কিং’ আজ আবার মাঝখান দিয়ে ‘রাইটিং’ ঢুকে গেল কীভাবে?! তবে একটু ভাবলেই বুঝতে পারবেন, এটাই আসলে হওয়া উচিত। কারণ সব ধরনের কনটেন্টের ভিত্তিই হলো এর রাইটিং। রাইটিং ভালো হলে, কনটেন্টও ভালো হতে বাধ্য। আপনি যদি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর কিংবা কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে তো বটেই, যদি হয়ে থাকেন উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, মার্কেটার কিংবা বিজনেস স্টুডেন্ট তাহলেও নিশ্চয়ই প্রতি পদে পদে কনটেন্ট রাইটিং-এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে থাকেন। অথচ বাংলায় এ বিষয়ক ভালো বই নেই বললেই চলে। গুগলে কনটেন্ট রাইটিং-এর ওপর সেরা বইয়ের নাম সার্চ করলে তালিকার শুরুতেই থাকবে অ্যান হ্যান্ডলি’র ‘এভরিবডি রাইটস’ বইটি। এর গুডরিডস রেটিং ৪/৫। বুঝতেই পারছেন কী দুর্দান্ত একটি বই। সে বইয়েরই ঝরঝরে, সাবলীল বাংলা রূপান্তর হচ্ছে ‘কনটেন্ট রাইটিং ইজ কিং’। সরাসরি অনুবাদ না করে রূপান্তর করার কারণ হচ্ছে, মূল বইটা ইংলিশ ভাষাভাষীদের জন্য লেখা। ফলে ইংলিশ ব্যাকরণসহ অনেক ব্যাপারই ছিল আমাদের প্রেক্ষাপটে অপ্রয়োজনীয়। সেগুলোর নির্যাস বজায় রেখে যথাসম্ভব সংক্ষেপ/পরিমার্জন করে একটি কার্যকরী রূপান্তর আমরা পাঠকের জন্য উপস্থাপন করেছি। আরেকটা কথা, এটি শুধু কনটেন্ট রাইটিং বিষয়ক বই-ই না, একই সাথে যারা ক্রিয়েটিভ রাইটিং-এ আগ্রহী তাদের জন্যও দারুণ ইফেক্টিভ এই বইটি।