ফ্ল্যাপ সাতাশ মাস দুটি অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনা করে। শেষ চব্বিশ মাসের সরকার ছিল গণবিক্ষোভের ফসল এবং তারা জরুরি অবস্থা জারি করে সেনা সমর্থিত সরকার হিসেবে দেশ শাসন করে। নানা ঘাত০প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে ছিল এই সরকারের অভিযাত্র। তারা যেমন জননন্দিত ছিল তেমন ছিল জননিন্দিতও। আশা-নিরাশার দোলায় জাতি এই সময়টি কাটায়। এই গ্রন্থে ক্রমানুসারে এই প্রত্যাশা ও হতাশা, খুশি ও ক্ষোভ এবং ব্যর্থতা ও অর্জনের বিবরণ পাওয়া যাবে। এই সময়ে রচিত মোট একত্রিশটি কলাম ও সাক্ষাৎকার সংযোজিত হয়েছে এই গ্রন্থে। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে যেমন লেখা আছে, তেমনি আছে গুরুত্বর্পর্ণ মৌলিক কতিপয় বিসয়ে রচনা। পুলিশ প্রশাসন, আইনের শাসন, স্থানীয় সরকার, রাজণৈতিক দল ও নগরায়ন নিয়ে আছে সারগর্ভ প্রবন্ধ। সর্বশেষে আছে সাতাশ মসের দেশ শাসনের একটি মূল্যায়ন- ব্যর্থতা ও সাফল্যের খতিয়ান।
সূচি দেশসেবায় পুলিশ প্রশাসন জরুরি অবন্থা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংসদ নির্বাচন নির্বাচন নিয়ে চিন্তাভাবনা, দূনীতির মহোৎসব, দ্রব্যমূল্যের উধ্র্বগতি, অর্থনীতির অবস্থা (সাক্ষাৎকার) মার্চ মাসে যেমন ভাবছি নির্বাচন আইন, পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া সংস্কার স্বশাসিত স্বয়ম্ভর স্থানীয় সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের করণীয় বাংলাদেশে আইনের শাসন বিএনপির ভবিষ্যাৎ সমৃদ্ধ উজ্জ্বল বাংলাদেশের প্রত্যাশায় বিজয়ের মাসের ভাবনা রাজনীতিতে অরাজনীতিকদের হস্তক্ষেপ কেউ পছন্দ করে না (সাক্ষাৎকার) বিজয়ের মাস ও সামনের চ্যালেঞ্জ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করা (সাক্ষাৎকার) সংলাপের পরিবেশ এবং এজেন্ড আগামী দিনের রাজনৈতিক দলের রূপরেখা নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আমাদের সুদক্ষ নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রশ্ন আওয়ামী লীগ নির্বাচনের দল, এ দল সবসময় নির্বাচনে যাবে (সাক্ষাৎকা) এই দুঃসাহস ওরা কোথায় পেল? মহানগর উন্নয়ন সংস্থা সমাচার ৪ আগস্টের স্থানীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অভিজ্ঞতা এবং তার আলোকে ভবিষ্যৎ করণীয় সংসদের আগে উপজেলা নির্বাচন কেন? বাংলাদেশে নগরায়ন: ভবিষ্যতের স্বপ্ন চারটি নিরানন্দ ঈদ (সাক্ষাৎকার) নির্বাচন হবে কিনা এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে একটা শঙ্কা রয়েছে (সাক্ষাৎকার) নির্বাচনের মওসুম (সাক্ষাৎকার) সাতাশ মাসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার
আবুল মাল আবদুল মুহিত লেখক, গবেষক, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ, প্রশাসক, পরিবেশবিদ ও অর্থনীতিবিদ আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেটের এক সম্ভান্ত পরিবারে ২৫ জানুয়ারি, ১৯৩৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। কৈশোরে ছাত্র সংগঠন এবং ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন এবং ১৯৫৫ সালে সলিমুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি ও সর্বদলীয় কর্মপরিষদের আহবায়ক থাকাকালে কিছুদিন জেলেও ছিলেন। কর্মজীবনে পূর্ব পাকিস্তান এবং কেন্দ্রীয় পাকিস্তান সরকারের প্রায় ১৩ বছর চাকরি করে ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসে অর্থনৈতিক কাউন্সিলর হিসেবে নিযুক্তি পান ১৯৬৯ সালে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ৩০ জুনে তিনি আনুগত্য পরিবর্তন করেন এবং মার্কিন কূটনৈতিক, শিক্ষামহল ও সংবাদমাধ্যমে প্রচারণায় ও জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ২৫ বছরের সরকারি চাকরির পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব হিসেবে স্বেচ্ছা অবসরে যান ১৯৮১ সালে । ১৯৮২ এবং ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন এবং ESCAP-এর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশে পরিবেশ আন্দোলন গড়ে উঠে। প্রথমে ‘পরশ এবং পরে বাপা'-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশনেরও পরপর দুই মেয়াদে সভাপতি ছিলেন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পেয়েছেন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব।