মেমোরি অব এরাইভাল (Memory of arrival) ছয় বছর নির্বাসন শেষে লেখকের জন্মভূমিতে প্রত্যাবর্তনের স্মৃতিচারণ। প্রত্যাবর্তনের পরের প্রকাশযোগ্য কতিপয় জীবন বাঁকের স্মৃতি রোমন্থন। এটা আত্মজীবনী নয়। আরও পরিষ্কার করে বলতে গেলে, এটা কোনো পূর্ণাঙ্গ আত্মজীবনী নয়। জীবনের নানা বাঁকের, একটি বাঁক মাত্র। যে সময়টিকে ঘিরে বইয়ের কুড়িটি অধ্যায় আবর্তিত হয়েছে; সেই সময়কে, সেই সময়ের সমস্ত ঘটনাপ্রবাহের সব কথা এখানে তুলে আনা হয়েছে তা বলা যাবে না। সব তুলে আনা সম্ভব নয় বলেই তুলে আনা যায়নি। মানুষের জীবনে সময় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অন্য কথায় জীবনের সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করে সময়। যে সময়ের বিবরণী এখানে স্থান পেয়েছে, তার সময়কাল কম হলেও ব্যাপ্তি বেশ বড়। অভিজ্ঞতার ভান্ডার বিশালÑযার সব কিছু প্রকাশ করা গেল না। সময়ের বিরুদ্ধ শক্তিকে উপেক্ষা করে সামান্য যেটুকু প্রকাশ করা যায় শুধুমাত্র সেটুকুই বইয়ের কুড়িটি অধ্যায়ে আবর্তিত হয়েছে। এই আবর্তনকে গভীর অভিনিবেশ সহকারে দেখলে ঘটনার পেছনের অনেক কিছুই অনুমেয় হবে। যারা সেই সময় সম্পর্কে জানেন এবং সে সময়ের ঘূর্ণি ধাক্কা ভোগ না করলেও মুখোমুখি ছিলেন; সচেতনতার সাথে পাঠ করলে প্রকৃত ঘটনা তারা অনুধাবন করতে পারবেন। বইটি পড়ার সময় সেলুলয়েডের ফিতায় পরিস্ফুটিত হবে সেই সময়কার ঘটনাপ্রবাহ। তবে বইটিতে সবিস্তারে সব কিছু বলা সম্ভব না হলেও অনেক ঘটনার, অনেক কথারই ইঙ্গিত রয়েছে।
লেখক, মানবাধিকার কর্মী, সালাম আজাদের জন্ম ১০-ই জুলাই ১৯৬৪ বিক্রমপুরের দামলা গ্রামে । গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস মিলে তাঁর গ্রন্থ সংখ্যা ৪৯ টি । CONTRIBUTION OF INDIA IN THE LIBERATION WAR OF BANGLADESH, ROLL OF INDIAN PEOPLE IN LIBERATION WAR OF BANGLADESH সালাম আজাদের দুটি উল্লেখযােগ্য গ্রন্থ। তাঁর সর্বশেষ গ্রন্থ CONTRIBUTION OF TRIPURA IN THE WAR OF LIBERATION OF BANGLADESH সম্প্রতি দিল্লী আর্ন্তজাতিক বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে । সালাম আজাদ বাংলাদেশের একমাত্র লেখক যার বই বিশ্বভারতী গ্রন্থ বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়েছে রবীন্দ্র ভূবনে বাংলাদেশ’ শীর্ষক গ্রন্থটির শিরােনাম বাংলা ও ইংরেজী দুই ভাষাতেই তিনি লিখলেও তাঁর বহু বই ইংরেজী থেকে বাংলা, বাংলা থেকে ইংরেজী, হিন্দী, অছমিয়া (আসামী), মারাঠি প্রভৃতি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে ।