সকল প্রসংশা জগতসমূহের স্রষ্টার। যিনি পরম দয়ালু, অতীব মেহেরবান। যিনি মালিক কিয়ামত দিবসের । আর শুভ সমাপ্তি মুত্তাকীদলের জন্য। এবং মহান আল্লাহ বৈরী কেবল জালিমদের প্রতিই । হে আল্লাহ, দুরুদ ও সালাম বর্ষণ করুন আপনার বান্দা ও রাসুল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর। এবং তার পরিবারবর্গ ও সকল সাহাবায়ে কেরাম এর ওপর। হামদ ও সালাতপূর্বক নিবেদন এই যে, ইসলামি শরিয়ত মুসলিম নারীকে দিয়েছে সবিশেষ গুরুত্ব। দায়িত্ব নিয়েছে তার ইজ্জত, আব্রু সংরক্ষণ করার। উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তাকে সুসংহত করার; উচ্চ মর্যাদা ও অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করার। পোশাক-পরিচ্ছদ ও সাজসজ্জার ব্যাপারে শরিয়ত মুসলিম নারীর ওপর যে সকল বিধিমালা আরোপ করেছে, তা কেবলই ফিতনার পথকে রুদ্ধ ও সংকুচিত করার লক্ষ্যেই, সে-সব ফিতনা থেকে, যার উদ্ভব ঘটে সৌন্দর্য প্রদর্শনের অসুন্দর চর্চার ফলে। এ-সকল নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োগের উদ্দেশ্য কখনোই নারীর স্বাধীনতাহরণ করে তাকে বন্দী রাখা নয়। এ সুমহান উদ্যোগের সারবত্তা হল মুসলিম নারীকে অসম্মানের হাত থেকে, অশালীনতার পঙ্কিলতা কিংবা কুদৃষ্টির খাদ্য ও শিকারে পরিণত হওয়া থেকে হেফাজত করা। এই সংক্ষিপ্ত রচনাকর্মে আমরা চেষ্টা করব পর্দার ফজিলত ও এর শুভ ফল নিয়ে আলোচনা করার। যাতে পাঠক পর্দার বিধান পালনে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তেমনি পাঠককে সতর্ক করার মানসে সৌন্দর্য প্রদর্শনের অসুন্দর চর্চার খারাপ দিকগুলো আলোচনা করব, দুনিয়া ও আখিরাতে এর অশুভ পরিণামের কথাও উঠে আসবে আলোচ্য গ্রন্থনায়। মহান পবিত্র সত্তা আল্লাহই সকল ইচ্ছা ও ক্ষমতার মালিক। তিনিই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং উত্তম কার্যনির্বাহী।