কংগ্রেস কিংবা মুসলিম লীগ নয়; মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী কিংবা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ নন, ভারতবর্ষের স্বাধীনতা এসেছে এডলফ হিটলারের কারণে। তার হাতে নাস্তানাবুদ ব্রিটেনের অর্থনীতি এতোটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল যে তাদেরই ছেড়ে দে মা কেঁদে বাচি অবস্থা। তার সাথে যোগ হয় ব্রিটিশবিরোধী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অনুসারীদের সহিংস আঘাত। ভারতবর্ষ ব্রিটেনের জন্য বড় দায় হয়ে পড়ে, যে বোঝা যতো তাড়াতাড়ি ফেলতে পারে ততোই স্বস্তি। হিটলারকে পৃথিবী যতো গালমন্দই করুক, ভারত ও পাকিসস্তানের স্বাধীনতা প্রাপ্তিতে তার পরোক্ষ অবদান খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। যে সিরিল র্যাডক্লিফের অদূরদর্শী, খামখেয়ালিপূর্ণ সীমান্ত বিভাজন পাঁচ লাখ মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যুর কারণ হয়েছে, ১২ লাখ মানুষের বাস্তুচ্যুতি ঘটিয়েছে বছর না ঘুরতেই ১৯৪৮ সালে ব্রিটেন তাকে নাইটহুড প্রদান করল, তিনি হয়ে উঠলেন স্যার সিরিল র্যাডক্লিফ; ঠিক তার পরের বছর শপথ নিয়ে প্রিভি কাউন্সিলের সদস্য হলেন এবং হয়ে উঠলেন ব্যারন র্যাডক্লিফ। মানচিত্রের উপর দাগ টানার কাজে উকিলের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তবে ব্যারিস্টার সিরিল র্যাডক্লিফ বলেছেন, জিন্নাহ, নেহেরু ও প্যাটেল চেয়েছেন ১৫ আগস্টের আগে যেন দাগ কাটার কাজ শেষ করি আমি, তাই করেছি। ১৯৪৭-কে ঘিরে এ রকম ষোলটি রচনা, অনুসন্ধানী পাঠকের অবশ্যপাঠ্য।