১৯৫৯ সন থেকে ১৯৬৬ সন পর্যন্ত চট্টগ্রামের শ্রমিক আন্দোলনে বাস্তবে ঘটে যাওয়া কতগুলাে ঘটনার ইতিবৃত্ত এ বইতে তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনাগুলাে একেবারেই জীবন্ত। এর বর্ণনার জন্যে কোন কল্পনার আশ্রয় নিতে হয়নি। কি নিষ্ঠুর নির্মম শোষণের মধ্যে এদেশের শ্রমিকশ্রেণী দিনাতিপাত করেছে এখনকার প্রজন্মকে তা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে হলে ঐ সময়ের আন্দোলনের কথা তাদের জানতে হবে। শোষণ-বঞ্চনা, নিপীড়ন আর অত্যাচারের বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণীর লড়াই সংগ্রাম কেন গন্তব্যে পৌঁছতে পারেনি, সম্ভবত তার কিছু কিছু চিত্র এ বইতে পাওয়া যাবে। এখানে মূলত চট্টগ্রামের শিল্প প্রতিষ্ঠান, বন্দর, রেল, রিফাইনারি, ইস্পাত, বিদ্যুৎ, বিদেশী ফার্ম, কেন্দ্রীয় সরকারের অফিসসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনের মূল ধারাটি বর্ণনা করা হয়েছে। চট্টগ্রামের শ্রমিক কর্মচারীদের নিরন্তর লড়াই-সংগ্রাম পাকিস্তানের সামরিক শাসকদের স্বস্তি দেয়নি, তারা আন্দোলনকারী শক্তিকে চরমভাবে পর্যদুস্ত করতে সক্ষম হয়নি। তখনকার শ্রমিক আন্দোলনের গতিপথ নির্ধারক ছিলেন কমরেড অনিল মুখার্জি, কমরেড মােহাম্মদ তােয়াহা, কমরেড চৌধুরী হারুন অর রশিদ, কমরেড দেবেন সিকদার। তাঁদের মধ্যে পরে কমরেড মােহাম্মদ তােয়াহা ও কমরেড দেবেন সিকদার মূল ধারার আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলেন না। কমরেড চৌধুরী হারুন অর রশিদ ও অনিল মুখার্জি শ্রমিক আন্দোলনে পথপ্রদর্শকের ভূমিকা পালন করেন।