ওরা রঙ বদলায় (হার্ডকভার)

১৯৫০ এর শেষদিকে প্রবর্তক বিদ্যাপীঠে একটা কানাকানি আমদানি হয়ে গেল- একজন উর্দু শিক্ষক যোগদান করছেন। বড়দের মধ্য কি সব কানাঘুষা চলতে লাগল। সত্যি পাঞ্জাবী পায়জামা পরিহিত উর্দু শিক্ষক ৫১'র জানুয়ারিতে এলেন। চোখে তাঁর চশমা, মাথায় টুপি, তা ফেজ টুপি, জিন্নাহ টুপি বা গোল টুপি নয়। সাধারণ একটা টুপি, তা বলে গান্ধী টুপি নয়। উর্দু স্যারের শান্ত সৌম্য চেহারা, দেখলে শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছে করে।
প্রবর্তক বিদ্যাপীঠের ইতিহাসে উনিই কিন্তু প্রথম মুসলিম শিক্ষক। বড়দের কানাঘুষা থেমে গেল। কারণ নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীদের উর্দু পড়তে হবে না। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা ইচ্ছে করলে ঐচ্ছিক বিষয় হিসেবে পড়তে পারবে প্রবেশিকা পরীক্ষাও দিতে পারবে, এ নিয়ম আমি ১৯৭০ পর্যন্ত দেখেছি। ছোটরা চুপসে গেল এ সংবাদে। কি জানি কেন, আমি উৎসাহের সাথে পড়তে লাগলাম। মাওলানা আবদুস সবুর সা'ব উর্দু সাহিত্য ব্যাকরণ ইত্যাদি শেখাতে লাগলেন বিপুল উদ্দীপনার সাথে। আমার ভালই লাগত। ব্যাকরণের কিছু কিছু নিয়ম এখনো আমার মনে আছে। আমিই উর্দুতে সর্বোচ্চ নম্বর পেতাম।