১৯৪৪ সালের প্রথমার্ধে আটলান্টিক পাড়ি দেয়াটা বড়ই জটিল ব্যাপার ছিল। পিটার ও কনরাডকে নিয়ে Queen Mary জাহাজটি দ্রুতবেগেই এগিয়ে চলছিল, কিন্তু তাদের ভ্রমণটা ছিল অত্যন্ত অস্বস্তিকর; কারণ জাহাজটা ছিল অসংখ্য শিশু আর তাদের মায়েদের দ্বারা পরিপূর্ণ। সকল শিশুর মা-ই অন্যান্য শিশুদের সম্পর্কে অভিযোগ করত এবং সকল শিশুই সবচেয়ে বেশী ঝামেলা সৃষ্টি করছিল। তাদের এইসব আচরণের কারণে তাদের সমুদ্রের জলে পড়ে যাবার আশংকা ছিল। কিন্তু আমি নিজে ইংল্যাণ্ড ফিরে না আসা পর্যন্ত এসবের কিছুই জানতাম না। আমার ব্যাপার হল, আমাকে একটা সম্মিলিত জাহাজবহরে করে পাঠানো হয়েছিল যা বাইসাইকেলের মত দ্রুতগতিতে রাজকীয় ভঙ্গীতে চলতে লাগল। এর আগেপাছে ছিল বিমান ও রণতরী। আমার সাথে ছিল History of Western Philosophy বইটির পাণ্ডুলিপি। পাণ্ডুলিপিটির প্রতিটি শব্দই সেন্সর করার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মচারীদের পড়তে হল যাতে শত্রুর সাহায্যে আসতে পারে এমন কোন তথ্য এর মধ্যে না থাকে। অবশ্য শেষপর্যন্ত তারা বুঝতে পারল যে দর্শনজ্ঞান জার্মানদের কোন কাজে লাগবে না। তারা বিনয়ের সাথেই বলল যে বইটা পড়ে তাদের ভালই লেগেছে, তবে আমি একথা স্বীকার করছি যে, তাদের কথা বিশ্বাস করা আমার পক্ষে কঠিন ছিল। সবকিছুকেই ঘিরে ছিল গোপনীয়তা।