সাধারণত বলা হয়ে থাকে দেহ, মন ও আত্মার সম্বনয়ে একজন মানুষ গঠিত। দেহ ও মনের বিষয়টি কিছুটা বুঝলেও আত্মাকে বুঝতে পারাটা একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে অত্যন্ত দুরুহ ব্যাপার। তবে এই দুরুহ বিষয়টিই বোঝার চেষ্টা করেছেন শাহ সুফি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান জালালাবাদী। তিনি শুধু মানবাত্মার বিষয়টিই বোঝার চেষ্টা করে ক্ষান্ত থাকেননি, সেই সঙ্গে পরমাত্মাকেও অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তাকেও খুঁজেছেন। মানবাত্মার সঙ্গে পরমাত্মার মিলন ঘটিয়েছেন। একজন সাধারণ মানুষ যখন তার আত্মার মানবিক স্বভাবে পরমাত্মার পরশ অর্থাৎ স্পর্শ অনুভব করে তখন সে আর সাধারণ মানুষ থাকে না। পরিণত হয়ে উঠে একজন অসাধারণ মানুষে। সেই সঙ্গে পরমাত্মার স্পর্শে তার অন্তরে প্রভূত শান্তি, স্বস্তি, সুখ ও আনন্দ অনুভব করে। শাহ সুফি মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান জালালাবাদী একজন পরিচ্ছন্ন সাধক পুরুষ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে আধ্যাত্মিক সাধনায় ব্যস্ত। তাঁর ‘মানবাত্মার মানবিক স্বভাবে পরমাত্মার পরশ’ গ্রন্থে তাঁর বক্তব্যগুলোকে ছোট ছোট ‘লীলাবাণী’ আকারে সাজিয়েছেন। লীলাময়, লীলাকার, লীলা-এই শব্দগুলোতে লেখকের বর্ণনারীতিতে যেন নতুন মাত্রা ও ছন্দ যোগ করেছে, তেমনি মনে হয় শব্দগুলো লেখকের নিজস্ব বর্ণনারীতি। পরিশেষে লেখকের আত্মা যা কিছু কামনা করে তা পৌঁছে যাক সেই পরমাত্মার আরশে ও তার পরশে ধন্য হোক তাঁর জীবন এই কামনা করি। বাংলা ভাষাভাষি সকল স্তরের পাঠকের নিকট গ্রন্থটি সমাদৃত হবে বলে আমি আশাবাদী।