ফ্ল্যাপে লিখা কথা বর্তমানে সময়ের আলোচিত ও বহুল বিক্রিত উপন্যাস দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন টাট্রু’র লেখক স্টিগ লারসন উত্তর সুইডেনের ফাস্টরবোথেন এলাকায় ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়াকালীন ইভা গ্যাব্রিয়েলসনের সাথে তার পরিচয় ঘটে, সেই সম্পর্ক টিকে ছিলো ২০০৪ সালে লারসনের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
মিলিটারি সার্ভিস শেষ করে যাযা্বরের মতো বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন, এরপর কর্মজীবনে ফিনান্সিয়াল ইনভেস্টিগেটিভ সাংবাদিক হিসেবে। এজন্যে কর্পোরেট জগতের অনেকের বিরাগভাজনও ছিলেন। বেশ কয়েক বার তার প্রাণনাশর হুমকি দেয়া হয়। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হলেও তার এই রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। মৃত্যুর পরই জানা যায় কাজের ফাঁকে ফাঁকে ৩ টি থৃলার উপন্যাস লিখে গেছেন। মিলেনিয়াম সিরিজ হিসেবে পরিচিতি িএই তিনিটি উপন্যাসের প্রথমটি দ্য গার্ল উইথ দি ড্রাগন টাট্রু-প্রকাশ হয় লেখকের মৃত্যুর বেশ কয়েক বছর পর ২০০৮ সালে। সারা ইউরোপে তুমুল জনপ্রিয়তা পেলে পরের বছর এ্রর ইংরেজি অনুবাদ যখন প্রকাশিত হয় তখন সেটা পরিণত হয় ইন্টারন্যাশনাল সেনসেশনে । এখন পর্যন্ত ৪০ মিলিয়ন কপি বিক্রি হওয়া এই উপন্যাসটি এ সময়ে বিশ্ব সাহিত্যের আলোচিত একটি নাম। মোট ৪২ টি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে লারসনের এই অসাধারণ থৃলারটি।
সালান্ডার ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েছে-জড়িয়ে পড়েছে হত্যার অভিযোগে। ঠিক এমন সময় এগিয়ে আসে তার পুরনো বন্ধু ব্লমকোভিস্ট। ঘটনার গভীরে যেতেই বেরিয়ে আসতে থাকে চাঞ্চল্যকর সব কাহিনী আর বিপজ্জনক সব চরিত্র। সালান্ডারের জীবন হুমকির মুখে। শেষ পর্যন্ত যা ঘটে তা একেবারেই লোমহর্ষক। স্টিগ লারসনের মিলেনিয়াম সিরিজের এই দ্বিতীয় উপন্যাসটি আগের মতোই টান টান উত্তেজনার। সাম্প্রতিক সময়ের সেনসেশন এই উপন্যাসটি অবশ্যই পাঠ্য।