লেখকের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সিলেট শহরে। মূল বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার চরনারচর ইউনিয়নের পেরুয়া গ্রামে। বাবা বরেণ্য সঙ্গীতসাধক পণ্ডিত রামকানাই দাশ ও মাতা লোককবি সূবর্না দাশ। এছাড়াও পরিবারের অনেকেই সঙ্গীতের বিভিন্ন শাখায় বিশিষ্টতা লাভ করেন। শৈশবে পিতার কাছেই তবলায় হাতেখড়ি হয়, এরপর কিছুদিন পশ্চিমবঙ্গের সত্যজিত সরকার—এর কাছে তবলার পাঠ নেন। পরবর্তীকালে ভারতের বিখ্যাত তবলাশিল্পী পণ্ডিত সমর সাহা, পদ্মশ্রী তালযোগী পণ্ডিত সুরেশ তালোয়ালকর ও পণ্ডিত বিপ্লব ভট্টাচার্যের কাছে তিনি তবলা শিক্ষা লাভ করেন। ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “সঙ্গীত পরিষদ, সিলেট”—এ তবলা শিক্ষকতার জীবন শুরু হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সিলেট জেলা শাখায় তবলাবাদক হিসেবে যুক্ত হন। ২০০১—২০১৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি ঢাকায় ‘ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তন’—এ শুদ্ধ সঙ্গীত বিভাগে তবলার গুরু হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫—২০১৮ পর্যন্ত বেঙ্গল ফাউন্ডেশন পরিচালিত বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ে ভারতের বিখ্যাত উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিল্পী ও গুরু পণ্ডিত উলহাস কুশলকার, সরোদবাদক পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদার, সেতারবাদক পণ্ডিত কুশল দাশ ও শ্রী দেবাশীষ হালদার—এর সঙ্গে তবলাবাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন। ২০১৬ ও ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি পণ্ডিত তেজেন্দ্র নারায়ণ মজুমদারের পরিচালনায় আর্মি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বেঙ্গল ক্লাসিক্যাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালে তবলাবাদনে অংশ নেন। প্রায় ত্রিশ বছর ধরে তিনি তবলাশিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন দেশের প্রধান সব উচ্চাঙ্গসঙ্গীত সম্মেলন এবং জাতীয় অনুষ্ঠানগুলোতে। সঙ্গত করেছেন দেশের বহু প্রথিতযশা শিল্পীদের সঙ্গে। বিভিন্ন সময়ে তিনি ভারতের বহু স্বনামধন্য শিল্পীদের সঙ্গেও তবলাসঙ্গত করেন। এক্ষেত্রে কিংবদন্তী সরোদবাদক পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, সেতারবাদক উস্তাদ কিরিট খান, সরোদবাদক ওস্তাদ বিদ্যুৎ খান, সারেঙ্গীবাদক পণ্ডিত ধ্রুব ঘোষ, বিশ্বভারতীর যন্ত্রসঙ্গীত বিভাগের প্রধান পণ্ডিত বুদ্ধদেব দাস, বাদক শুভায়ু সেন মজুমদার, সেতারবাদক পণ্ডিত সঞ্জয় গুহ, পণ্ডিত সারথি চ্যাটার্জি, পণ্ডিত তুষার দত্ত, উস্তাদ আরশাদ আলী, জয়নুল আবেদীন, রুচিরা পাণ্ডা, সাবিনা ইসলাম রহমান এর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের (বিটিভি) একজন নিয়মিত তবলাশিল্পী। বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের অনুষ্ঠানেও দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন।