* নিস্তব্ধ রাত। রাস্তায় বাতি জ্বলছে। একটার দিকে সিলভার রং এর একটা ল্যান্ডরোভার এসে থামে রুস্তমের গ্রীনরোডের বাসার সামনে। সামনের উঁচু লোহার গেট বন্ধ। চারজন অস্ত্রধারী লোক দ্রুত নামে গাড়ী হতে। ড্রাইভার গাড়িতে থাকে। ক্ষিপ্র বানরের মতো চারজনই একসাথে গেট আর দুপাশের উঁচু দেয়াল বেয়ে উঠতে থাকে। হঠাৎ চীৎকার উঠে। দুজন ঝাঁকি খেয়ে ধপ ধপ করে ছিটকে পড়ে গেটের পাশে সিমেন্টেড মাটিতে। ৃ ড্রাইভার তার বেরেট্টা হাতে গাড়ী হতে নেমে আসে। দেয়ালের ওপাশের অন্ধকার হতে একটা ছায়ামূর্তি একপা এগিয়ে প্রচণ্ড ক্ষিপ্রতায় কি যেন ছুড়ে মারে। দুহাতে গলা চেপে কাটা মুরগীর মতো ছট ফট করে নিথর হয়ে গেলো ড্রাইভারটা। চিতা বাঘের মতো ক্ষিপ্রতায় ছুরি হাতে মাটিতে পরা দুজনের দিকে ছুটে যায় এবার ছায়ামূর্তিটা। দুজনের একজন ভাঙ্গা কোমর হেঁচড়িয়ে তার হাত থেকে ছিটকে পড়া বেরেট্টাটা উঠাতে চেষ্টা করে। দেরী হয়ে গেছে। ছায়ামূর্তিটা পেছন হতে ধরে ওর গলাতে দিয়ে দেয় তার ছুরির একটা নিষ্ঠুর পোঁচ। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বাকীটার ও শরীর অচল করে দেয়। গাড়ীর চাবি গাড়ীতে ছিল। সেটা তার পকেটে নিয়ে বানরের মতো সে ছায়ামূর্তিটাও এবার দেয়াল ডিঙ্গিয়ে ভেতর ঢোকে। * ফট করে শব্দটা হতেই চোখ ফেরায় রুস্তম। চীৎকার দিয়ে পড়ে গেছে ছেলেটা। টেবিলের ওপর হতে ছিটকে মেঝের ওপর শব্দ করে পড়েছে তার প্রিয় রনসন ভেরাফ্লেম গ্যাস লাইটারটা। আর শ্বাস কষ্টে গলা দিয়ে জান্তব আওয়াজ দিয়ে টেবিলের ওপর ছেলেটার বাচ্চা শরীরটা ঝাঁকি দিতে থাকে। মিনিট খানেক পরেই ওর কচি দেহটা নিথর হয়ে যায়। সায়ানাইড গ্যাস! ... রোমানজার সুরের গভীরে ভাসছে ওর আয়ত নীল আঁখি। সে সুরের তন্ময়তার অতল হতে মিস ফ্যাং কে আলাদা করবে কি করে রুস্তম? * জাঁদরেল হ্যামারহেডটা এগিয়ে আসে। হাতের জ¦র শার্প চাকু দিয়ে একটানে ছিঁড়ে ফেলে ত্রিপলের একটা কোন। পাঁজরার ওপর শক্ত কি যেন ঠেকতেই চমকে মুখ ঘোরায় রুস্তম। ¯ঙঊু খুলতে এতো ব্যস্ত ছিল লক্ষ্য করেনি সে। তার কপালে লাগানো আন্ডার ওয়াটার টর্চের আলো এসে পড়েছে হাতুড়ীমুখোটার মাস্কের গ্লাসের ওপর। ফাঁক দিয়ে দেখা যায় একজোড়া সংকীর্ণ কিরগীজ চোখ! চেঙ্গিজ খাঁ!