আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন প্রত্যেক নবী-রাসূলের উপর নিজ মাতৃভাষা অনুযায়ী আসমানী কিতাব অবতীর্ণ করেছেন, যাতে তাঁদের উম্মত সঠিকভাবে বুঝতে পারে। অনুরূপ সর্বশেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা)-এর মাতৃভাষা আরবী হওয়ার কারণে সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব তথা কুরআন মাজীদও আরবী ভাষায় নাযিল হয়েছে। এজন্য আমরা কুরআন মাজীদ এবং নামাযের সূরাসমূহ আরবীতে তিলাওয়াত করি। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় আমাদের জন্য আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে রহমত স্বরূপ, যা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয। নামাযের মাধ্যমেই আমরা প্রতিদিন পাঁচবার আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের সাথে সাক্ষাৎ করার সুযোগ লাভ করি। তাই নামায আদায়ের ক্ষেত্রে অত্যন্ত বিনয়, ন¤্রতা ও একাগ্রতার সাথে আদায় করা প্রয়োজন। নামাযে বিনয় ও একাগ্রতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অর্থ বুঝে নামায আদায় করা অত্যন্ত কার্যকরী একটি পন্থা। এজন্য সর্বোত্তম পন্থা হলো নামাযে যা পড়ছি, তার অর্থের পিছনে মনকে লাগানো। তাই আমাদের উচিত আল-কুরআন বুঝে বুঝে নামায আদায় করা। গ্রন্থটিতে মুসলিম ভাই বোনেরা সাধারণত যে সূরাগুলো দিয়ে নামায আদায় করে থাকেন সে সূরাসমূহের অর্থ ও তাফসীর এবং আরবী ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ কতিপয় নিয়ম উল্লেখের পাশাপাশি নামাযের মধ্যে যে সমস্ত দু‘আ পড়তে হয় সেগুলোও অর্থসহ উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া মানবজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় তথা আখিরাত ও দরূদ সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। শিরোনাম ও অধ্যায় বিন্যাসের ক্ষেত্রে গ্রন্থটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। প্রামাণিক তথ্য ছাড়া গ্রন্থের কোথাও ব্যক্তিগত অভিমত ও আবেগকে প্রশ্রয় দেয়া হয়নি। এরূপ বৈশিষ্ট্যের কারণে গ্রন্থটি পাঠক সমাজের নিকট আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ^াস। সাধারণ পাঠক সমাজ বইটি পড়ার মাধ্যমে নিজেরা জ্ঞান অর্জন করার পাশাপাশি অন্যের মাঝেও কুরআনের জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে পারেন। নামাযে প্রশান্তি লাভের উপায় আল-কুরআন বুঝে পড়া গ্রন্থটি নামাযে প্রশান্তি লাভের কারণ হিসেবে পাঠক সমাজে বিবেচিত হবে, এ কামনা করছি।