মঈনুল রনি একজন আধুনিক ও জীবন মনস্ক কবি। তার কাব্যগ্রন্থ’ আত্মার আর্তচিৎকার এ তার নিজস্ব শৈল্পিক এবং আধ্যাত্মিক চেতনা, আশা, আবেগ, ভালোবাসা ফুটে উঠেছে। জীবন ভাবনা, মানবিকতাবোধ, মমত্ববোধ, সমাজ চেতনা, জীবনবোধ, পরজগতের ভাবনা, সবই তার লিখন শৈলীতে স্পষ্ট প্রতীয়মান, যা একজন মানুষকে সত্যিকার মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও মানব প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে জাতীয় রাজস্ব আহরণে নিরলস পরিশ্রম করা সত্বেও তিনি মানুষ, সমাজ, দেশ নিয়ে ভাবেন। পৃথিবীকে ভালোবাসাময় করতে এবং মানুষে মানুষে স¤প্রীতি গড়তে এবং মানব জাতিকে সুপথে পরিচালিত করতে এক ধরনের বলিষ্ঠ অঙ্গীকার তার লেখায় প্রতিফলিত। সামাজিক দায়বদ্ধতা তাকে নিরন্তর লেখালেখিতে উৎসাহ যুগিয়েছে। মানব হৃদয়রহস্য, প্রকৃতি, দেশ - সমাজ ও মানব জীবনের নানা চাওয়া পাওয়ার দ্ব›দ্ব ও অসঙ্গতিকে তিনি তার কবিতায় শিল্পিত রূপ দিয়েছেন। অপরিসীম তারুণ্য ও ভালোবাসা নিয়ে তিনি একাধারে কবি, গীতিকবি, ছড়াকার এবং আবৃত্তিকার। ইতোমধ্যে গীতিকার, আবৃত্তিকার এবং গায়ক হিসেবে কবি মঈনুল রনি’র আত্মপ্রকাশ ঘটেছে আলোকবর্তিকা রূপে। মানুষের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে তিনি এগিয়ে চলছেন। তিনি মানব সত্তার দুঃখ দুর্দশা, হতাশা, যাতনা, বেদনা প্রভৃতি নিয়ে ভাবেন। তিনি জন্ম মৃত্যু, ইহকাল,পরকাল, মহাকাল নিয়ে ভাবেন। পাঠক এবং শ্রোতার মাঝে তিনি শুভ চেতনার প্রত্যাশা করেন। কবি মঈনুল রনি বেঁচে থাকুন তার স্বপ্নের মাঝে, পাঠক ও শ্রোতার ভালোবাসা নিয়ে। মানব সত্তাকে তিনি যেনো কষ্ট ভুলিয়ে স্বপ্ন দেখাতে পারেন সেই প্রত্যাশা করি।