কবিতা বৈচিত্র্যময়৷ আর এই বৈচিত্র্যময়তা যথাযথভাবে প্রকাশ করতে পারলেই কবিতার সৌন্দর্য রক্ষা পায়৷ কবিতা হয়ে ওঠে সৌন্দর্যের আঁধার৷ কবি রকিবুল হাসান তার কবিতায় ঠিক এই কাজটাই করেছেন৷ সহজ সরল শব্দের নৈপুণ্য ব্যবহারে যেমন ভাষার প্রাঞ্জলতা রক্ষার দিকে নজর রেখেছেন ,তেমনি কবিতায় নান্দনিকতার আবির্ভাব ঘটিয়েছেন বহমান স্রোতের মতো৷ শব্দের ব্যবহার সহ কবিতার যাবতীয় বৈশিষ্ট্য (উপমা,অলংকরণ, ছন্দ ইত্যাদি) রক্ষা করেছেন সিদ্ধহস্তে৷ সহজ ভাষা প্রয়োগে তার কবিতা হয়েছে আমার,আপনার সহ আপামর জনতার৷ পড়ার সময় মনে হয়, আরেহ এ তো আমারই কথা! কবি রকিবুল হাসানের কবিতার সবচেয়ে বড় দিক হলো, তার কবিতা মানুষের চেতনাবোধকে জাগিয়ে তোলে৷ দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে আত্মবিশ্লেষণে উদ্বুদ্ধ করে, নিজেকে আপামর মানুষের কল্যাণের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে৷ আবেগকে জীবনের একটা ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে নিয়ে বাস্তবতা বুকে ধারণ করার সাহস জোগায়৷ তার এই চেতনা একজন মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার বোধ জাগায়,তেমনি কবিতায় এক নতুন যুগের অবতারণা করবে বলে আমি মনে করি৷ সাহিত্যে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো বেঁচে থাকুক, অবাঞ্চিতের মশাল হয়ে৷ কবিতায় কবির পদচারণা থাকুক যুগযুগান্তর৷
রকিবুল হাসান পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন৷ ছেলেবেলা থেকেই সাহিত্য ও সংগীতের প্রতি তার গভীর টান দেখা যায় ৷ স্কুলের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তাকে কবিতা আবৃত্তি ও গানে অংশ নিতে দেখা যেতো ৷ শৈশব থেকেই মৌখিক গল্প ও ছড়া বানিয়ে সহপাঠী বন্ধুদের শোনাতো । তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৭ সালে ইসলামিক গান ও কবিতা লেখার মাধ্যমে লেখালেখির হাতেখড়ি হয় ৷ রকিবুল হাসানের কবিতা গল্পে মুলত দেশের আপামর জনতার হাসি, কান্না,চাল-চলন প্রতিফলিত হয় ৷ এছাড়াও তিনি প্রেম,বিরহ,সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন ৷ কবির গল্প ও কবিতায় আমরা প্রেমের আভাস পেলেও কবি বাস্তবতা নিয়ে লিখতেই বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করেন ৷ রকিবুল হাসান কবি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার আগেই গীতিকার হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করেছেন৷ উল্লেখ্য যে বাংলা গানের যুবরাজ খ্যাত কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর তার লেখা ❝তুই ছাড়া সবই ভুল❞ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন৷ বিভিন্ন পত্র পত্রিকাসহ অনলাইন মাধ্যমে বেশ কয়েক বছর ধরে লিখছেন । প্রকাশিত গ্রন্থসমূহ : কাব্যগ্রন্থ : ১ | গোধূলি মায়া ২ | সবই শূন্য তবুও মায়া ৩ | মায়ার মরীচিকা গল্পগ্রন্থ : ১ | শেষাংশ