২০১৫ সালে প্রথম "এটারনিয়া" লিখি আমি। ফেসবুকে তখন পর্ব আকারে গল্পটি প্রকাশ করা হয়। ঐ সময়ে এই সায়েন্স ফিকশনটির বেশ জনপ্রিয়তা ছিল। তখন যদিও এআই কনসেপ্ট নিয়ে এতটা হাইপ তৈরী হয়নি। তবে বাংলাদেশে শুধুমাত্র এআই গোষ্ঠী নিয়ে এর আগে আর কোন বাংলা সায়েন্স ফিকশন হয়েছিল কিনা আমার জানা নেই। গল্পটি ২০৭৫ সাল ঘিরে। "মাস্টার কোডার" নামক এক ইন্টারনেট ছদ্মনামধারী প্রোগ্রামার কম্পিউটারের ভেতরে মানব মস্তিষ্কের এক সিমুলেশন আবিষ্কার করে ফেলে। সে তার মস্তিষ্কের জৈবিক ডাটাকে কম্পিউটার কোডে রুপান্তর করে। মানুষের আদলে তৈরী হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। মাস্টার কোডার সেই প্রোগ্রাম তথা এআইগুলির পরিক্ষা নিরিক্ষার জন্য এক ভার্চুয়াল রিয়েলিটি তথা এক কাল্পনিক জগত কোড করে তৈরি করে। কম্পিউটারের ভেতরে সেই প্রোগ্রামটির নাম "এটারনিয়া"। এক পর্যায়ে সে তার মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি জড়িত জৈবিক ডাটাকে কম্পিউটারে কোড আকারে ট্রান্সফার করতে গিয়ে একটা দুর্ঘটনায় জড়িয়ে পড়ে। যখন মাস্টার কোডার তার হুশ ফিরে পায়, সে নিজেকে তারই তৈরি করা "এটারনিয়া" নামক ভার্চুয়াল জগতের ভেতর আবিস্কার করে। শুরু হয় এক অসীম যুদ্ধ, পৃথিবীতে ফিরে আসার যুদ্ধ, নিজের তৈরী এআইদের সাথে লড়াইয়ের যুদ্ধ!
কবি ও সম্পাদক এম.এ. নাইম এর উপাধি "নির্যাতিতের কবি"। তিনি পিতা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এবং মাতা মোছাঃ মোমেনা বেগমের কনিষ্ঠ পুত্র। এম.এ. নাইম এর জন্য ২০০৩ সালের ৩রা মার্চ, গাইবান্ধা জেলাধীন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোটালপুর নামক ছোট্ট গ্রামের এক মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে। বর্তমানে রাজশাহীর "শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস্ স্কুল এন্ড কলেজ"-এ দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তার প্রথম কবিতা "চলো বদলাই প্রকাশিত হয়। 'শিক্ষা ও বর্তমান শিক্ষা' তার প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ। 'স্বপ্নমাখা কাব্য' তার সম্পাদিত ১ম যৌথ কাব্য গ্রন্থ। এছাড়া ২০২০ সালে এক পাঠক সম্মেলনে 'বাংলা সাহিত্যিক খেতাব বোর্ড' লেখক ও কবিকে "নির্যাতিতের কবি' উপাধি দেয়।