স্বাধীনতা শুধু একটি শব্দ নয়, এটি এমন এক অধিকার ও অনুভব যা মানুষের জন্যগত। বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে পাকিস্তানিরা বাঙালিদের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। ১৯৭১ সালে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি মুক্তির জন্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানি যুদ্ধবাজরা এ যুদ্ধের সূচনাপর্বে বাঙালিদের রক্তে রক্তগঙ্গা বইনো দেয়। তারা শহর ও গ্রামে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গণহত্যা চালায় এই মুক্তিসংগ্রামে আপামর জনতার আত্মত্যাগ রয়েছে। ফলে বাঙালির ঐক্য ও সংহতির বিজয় নিশ্চিত হয়। স্বাধীনতা ও দেশপ্রেমের প্রেরণায় জাগ্রত হয় কোটি প্রাণ। সে সময় কৃষক- শ্রমিক-মজুর-বুদ্ধিজীবি-শিশু-কিশোর-নারী- পুরুষ-যুবক-বৃদ্ধ সকলেই পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের নিগড় থেকে মুক্তি পেতে সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেনা- বিমান-নৌ-ইপিআরসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় মুক্তিবাহিনী। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা স্বাধীনতা লাভ করি। কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর 'মিছিল' কবিতার মতো একত্র হই- যে যাবে না সে থাকুক, চলো, আমরা এগিয়ে যাই। যে-সত্য জেনেছি পুড়ে, রক্ত দিয়ে যে-মন্ত্র শিখেছি, আজ সেই মন্ত্রের সপক্ষে নেবো দীপ্র হাতিয়ার। স্লোগানে কাঁপুক বিশ্ব, চলো, আমরা এগিয়ে যাই। চলো, আমরা এগিয়ে যাই। আমাদের সাথে যাবে বায়ান্নর শহিদ মিনার, যাবে গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তর অস্ত্র হাতে সুনিপুণ গেরিলার মতো। আমাদের সাথে যাবে ত্রিশ লক্ষ রক্তাক্ত হৃদয়। যুদ্ধ জয়ের অগ্নিপুরুষদের বলতে চাই-আমরা তোমাদের ভুলবো না।