পবিত্র কোরআন মানবজাতির জন্য অত্যও দিকনির্দেশনামূলক গ্রন্থ। এতে পারিবারিক ও সামাজিক জীবন এবং জাতি ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন দিক অন্তর্ভুক্ত আছে। কোরআন মানবজাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ পথপ্রদর্শক এবং এই পবিত্র গ্রন্থে পাওয়া যায়: “নিশ্চয়ই, কোরআন সবচেয়ে সরল (পথের) নির্দেশনা দেয় এবং বিশ্বাসীদেরকে সুসংবাদ দেয় যারা পুণ্য কাজের উপর প্রতিষ্ঠিত আছে তারা একটি মহান পুরস্কার পাবে।" (সূরা আল-ইসরা [১৭]: আয়াত ৯) । তিনি সূরা আল-ইমরান-এ আরও বলেছেন: "আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে দৃঢ়ভাবে ধারণ কর এবং বিভক্ত হয়ো না। আর তোমরা তোমাদের উপর আল্লাহর নিয়ামতকে স্মরণ কর, যখন তোমরা পরস্পরে শত্রু ছিলে। তারপর আল্লাহ তোমাদের অন্তরে ভালোবাসার সঞ্চার করেছেন। অতঃপর তার অনুগ্রহে তোমরা ভাই ভাই হয়ে গেলে । আর তোমরা ছিলে আগুনের গর্তের কিনারায়, অতঃপর তিনি তোমাদেরকে তা থেকে রক্ষা করেছেন। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ বয়ান করেন, যাতে তোমরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হও।” (সূরা আল-ইমরান [৩]: আয়াত ১০৩)। তাই, পাঠকদের কাছে কিছু ধর্মীয় বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য, আল্লাহর রহমতে, আমি পবিত্র কোরআন থেকে কিছু নির্বাচিত বিষয় সম্পর্কে বোঝার জন্য বইটি লেখার চিন্তা করেছি। প্রকৃতপক্ষে, এটি কোরআনের কিছু বাছাইকৃত আয়াত এবং হাদিসের একটি সংগ্রহ স্বরূপ যা মানুষের জন্য ইসলামে প্রদত্ত নির্দেশমালা এবং সেগুলো অনুসরণ করার জন্য আমরা জাতি হিসেবে কি করছি তা উল্লেখ করেছি। আমি কোরআনের বার্তাগুলোকে বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগের বিষয়টি অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেছি ।