এয়ারপোর্ট। শব্দটি শুনলেই চোখে ভেসে আসে ঝলমলে ও চাকচিক্যময় এক জগৎ। এয়ারপোর্ট আর দূর আকাশের প্লেন নিয়ে মানুষের কৌতূহলের যেন শেষ নেই; যদিও এ সম্পর্কে জানার সুযোগ খুব সীমিতই। তবে খুব কাছ থেকে দেখলে বোঝা যায়, এয়ারপোর্টেরও একটা প্রাণ রয়েছে। এখানে যেন দেখা মেলে বৈচিত্র্যময় ছোট্ট এক দুনিয়ার ৷ সে দুনিয়ায় সুযোগ হয় হরেক রকম মানুষ, ভাষা, পোশাক ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসার; কাছ থেকে দেখা ও জানার। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষের বিশেষ বিশেষ সময়ের আবেগ ও সম্পর্কের নিরব সাক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র তরী। সে কাজ করে এ বিমানবন্দরেই। চাকরিসূত্রে তাঁর সুযোগ হয় এয়ারপোর্ট-কেন্দ্রিক জীবন দেখা ও জানার। এ উপন্যাসে তরীর জবানিতে তুলে ধরা হয়েছে এয়ারপোর্ট-কেন্দ্রিক নানা মানুষের বিচিত্র জীবনের গল্প। এই গল্পগুলোর কোনোটা আনন্দের, কোনোটা বেদনার, কোনোটা পাওয়ার, কোনোটা হারানোর, কোনোটা প্রেমের, কোনোটা লড়াইয়ের, কোনোটা আত্মত্যাগের, আবার কোনোটা অহংকারের। বিচিত্র মানুষের বিচিত্র জীবনালেখ্যের সমান্তরালে এ উপন্যাসের সবচেয়ে উজ্জ্বল দিক সাহেবকে ঘিরে তরীর ভালোবাসার গল্প। এই ভালোবাসায় হয়তো পাঠক রোজকার সংসারের নিত্যদিনের চাল-ডালের হিসেবে পাবেন না, পাবেন তরীর হৃদয়-নিংড়ানো প্রেমজাত প্রার্থনার কথা— ‘আজকের অ্যাসাইনমেন্টে সে যেন বেঁচে ফেরে!' আরও রয়েছে করোনা মহামারিতে বদলে যাওয়া নতুন এক এয়ারপোর্টের গল্প আর লাস্ট ফ্লাইটের রোমাঞ্চকর কাহিনি।