“চন্দ্রভুক অনামিকা” এটি কবির দ্বিতীয় একক কাব্য গ্রন্থ। প্রথম একক চন্দ্রভুক পাঠকের ভালোবাসায় সিক্ত হবার পর এই দ্বিতীয় প্রয়াস। কাব্য সৃজন একটি ঐশী যোগ্যতা। সৃষ্টিকর্তা এটি যাকে যতটুকু দান করেছেন তিনি ততটুকুই বিকশিত করতে পারেন। সৃষ্টিকর্তার সাথে সৃষ্টির একটি সেতু বন্ধন, একটি প্রেমময় সম্পর্ক জুড়ে দেয়া কবি ডা. মুহসিনা'র কাব্য চর্চার প্রথম উদ্দেশ্য। মানুষের মনে প্রেম না থাকার কারণেই সমাজে আজ এতো অসঙ্গতি, এতো কলুষতা, এতো অসুন্দরের চর্চা, এতো স্বার্থপরতা। আজ নিঃস্বার্থ প্রেম শব্দটি নির্বাসনে। কাব্য চর্চার মাধ্যমে সেই প্রেম জাগিয়ে তোলাই কবির ব্রত। তার দ্বিতীয় উদ্দেশ্য হলো, সাহিত্যের নামে অশ্লীলতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। সাহিত্য, বিশেষ করে কাব্য হলো স্রষ্টার পবিত্রতম নির্যাসিত ও নির্গত ভাষা। গুটিকয়েক বিকৃত রুচি, বিকৃত মানসিকতার মানুষ সাহিত্য বা কাব্য চর্চার নামে অশ্লীলতার চর্চা করে। যার ফলশ্রম্নতিতে রুচিশীল লেখক এবং পাঠক আজ কবিতাবিমুখ। সেসব রুচিশীল লেখক পাঠকদেরকে কাব্যের জগতে ফিরিয়ে আনাই কবি ডা. মুহসিনা'র ঐকান্তিক ইচ্ছা । কাব্য চর্চায় যারা কবিকে সার্বক্ষণিক উৎসাহ ও প্রেরণা যুগিয়ে যাচ্ছেন তারা অবশ্যই কবির আত্মার আত্মীয়। বিশেষ করে তার ফেসবুক বন্ধুরা। তিনি তাদের সবার কাছে ঋণী। তাদের জন্য রইলো তার হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা। তিনি বিশ্বাস করেন, জ্ঞান এবং ভালোবাসা যত বিলিয়ে দেয়া হয় তা গাণিতিক হারে বেড়ে যায় এবং ফিরে আসে। তাই কবি দিয়ে যেতে চায় শুধু ভালোবাসা এবং ভালোবাসা। কারণ কবি তো শুধু তা পেতে চায়।