সাহিত্যের আকাশে কবিতার ডানা বেশ শক্ত। কবিতা হাসি—কান্না, সুখ—দুখের সেতুবন্ধন তৈরীতে অনন্য এক সহগ। কবিতা কাউকে শত সহস্র পৃথিবীর মালিক, আবার কোনো ঐশ্বর্যবানকে রাস্তার ফকির রূপে অলঙ্করণ করবার ক্ষমতা রাখে! সাহিত্যের জগতে তাই কবিতার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, সম্ভবত গ্রহণযোগ্যতাও যেন অপ্রতিদ্বন্ডী। কবি গুল আফরোজ আহমেদ—এর কাব্যপ্রভা পড়লাম। সাহিত্য অন্তঃপ্রাণ এই কাব্যপ্রতিভার কাব্যপ্রভা গ্রন্থে উপস্থাপিত কবিতাগুলো সময়, প্রকৃতি, মানব মন, দেশপ্রেম, দ্রোহ সহ কবির ব্যক্তি জীবনের অনুভূতি সম্বলিত ভালোমন্দকে চমৎকার উপাখ্যানে সমৃদ্ধ করেছে। মা'য়ের উৎসাহে উৎসাহিত সংস্কৃতিমনা কবি মা অন্তঃ প্রাণ, তিনি গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত মা কবিতায় বলছেন— তোমার স্মৃতি হাতড়ে ফিরি ঝরে পড়া চুলের গোড়ায়, সেথায় তোমার হাতের পরশ ছিলো। (কবিতা—মা), কবি তাঁর, তথা পৃথিবীর সকল মায়ের অভিরূপ অঙ্কন করেছেন এই কবিতায়। কবি বলেছেন, অপেক্ষার অভ্যাস মানুষকে পরাধীন করে তোলে। (কবিতা— সবাই চলে যায়), মানুষের চলমান জীবন ও গতিবিধির চমৎকার চিত্র এঁকেছেন কবি এই কবিতায়। এছাড়াও বেশ কিছু কবিতা আমার মনে বেশ দাগ কেটেছে। কাব্যপ্রভা'র এটি দ্বিতীয় সংস্করণ। “চারু সাহিত্যাঙ্গন” প্রকাশ করছে কাব্যগ্রন্থটি। চমৎকার প্রচ্ছদ, যা পাঠককে আকৃষ্ট করবে নিশ্চিত। আশা করছি গ্রন্থটি প্রথম সংস্করণের ন্যায় পাঠক প্রিয়তা পাবে। শুভ কামনা রইলো কবি, সাহিত্যিক ও সমাজসেবী গুল আফরোজ আহমেদ, আপনার জন্য।