-> ড্রাগনফল প্রাইভেট টিউটর সিফাতের শখ থাকলেও সাধ্য নেই পছন্দের ফলটা কিনে খাবার। অযাচিতভাবেই শখটা একদিন পূরণ করলো অচেনা ফলবিক্রেতা। বাড়ি পৌঁছে অবাক হয়ে সিফাত খেয়াল করলো, ডিমের খোসার মতোই ফলটার আবরণ ভেঙে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে কিম্ভুতদর্শন এক ড্রাগনের বাচ্চা! এই গল্পটা একইসাথে বার্নিং ডিজায়ার নামক মিহিদানার মতো এক মাদকের বিরুদ্ধে, যা গোটা দেশে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে। অজানা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়তে নামলো নারকোটিকস প্রিভেনশন টাস্ক ফোর্সের অপারেশনাল চীফ এবং তার ছোট্ট দল। তবে ওদের মাথার ওপর ঝুলছে নিষেধাগার খড়্গ। একটু বেচাল হলেই বন্ধ যেতে পারে পুরো স্কোয়াডের কার্যক্রম। লড়াইটা শেষ হয়েও কিন্তু শেষ নয়, মাত্র শুরু হচ্ছে। প্রাচীন এক কিংবদন্তিকে যদি চোখের সামনে সত্য হতে দেখেন, বিশ্বাস করতে পারবেন তো? -> দেবং লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা বিখ্যাত রহস্যোপন্যাস লেখক রুপম রাহার ট্র্যাভেল ভ্লগার স্ত্রী ক্যামেলিয়া নিখোঁজ। অপহরণকারী কে, তা জানতে খুব বেশি সময় লাগলো না অবশ্য। স্ত্রীকে বাঁচাতে ওকে যেতে হলো অন্ধকার আর আতঙ্কে ঘেরা ভয়ঙ্কর এক গ্রাম “দেবং”-এ। প্রতিপক্ষ এক ভয়ানক সিরিয়াল কিলার। কোন মোহে পড়ে একের পর এক খুন করে যাচ্ছিলো সে, তা জানতে পেরে লোকটার ওপর মায়া জন্মাবে নাকি ঘৃণা করবে, তা ঠিক ঠাহর করতে পারছে না বেচারা লেখক। অদ্ভুত এক নির্দেশ পেলো রুপম। মৃত্যুর আগে জীবনের সবচেয়ে সেরা গা ছমছমে হরর উপন্যাসটা লিখে যেতে হবে ওকে, এবং... পুরোটাই হতে হবে বাস্তব ঘটনার উপজীব্যে! অগত্যা, হাতে কলম তুলে নিলো রুপম রাহা। শেষবারের মতো?
আহনাফ তাহমিদের জন্ম ১৯৯৫ সালের ৯ অক্টোবর। জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। বেশ কিছু ছোটগল্প রচনা করেছেন, সেগুলো ছাপা হয়েছে বিভিন্ন সংকলনে। থ্রিলার, ফ্যান্টাসি, হরর জনরায় লিখতে ও অনুবাদ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। থ্রিলার সাহিত্যে চমৎকার কিছু অবদান রেখে যাওয়ার একান্ত ইচ্ছা তুলা রাশির এই জাতকের। এলিফ্যান্টস ক্যান রিমেম্বার, সিক্রেটস অফ মেন্টাল ম্যাথ, দ্য বাস্টার্ড অফ ইস্তানবুল তার অনুবাদ গ্রন্থ। 'আলাদিন' তার প্রথম মৌলিক থ্রিলার।