সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, স্বপ্নদ্রষ্টা ও স্বাধীনতার রূপকার। তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বেই বাঙালি পেল স্বতন্ত্র ও স্বকীয় জাতিসত্তার পরিচিতি; যা আমাদের জন্য গৌরব ও অহংকারের। তিনি একজন বাস্তববাদী ও দূরদর্শী রাজনীতিবিদ এবং নীতি-নির্ধারক ছিলেন। আধুনিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর এবং উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রত্যেকটি সেক্টরে উন্নয়নের গোড়াপত্তন করে গিয়েছিলেন তিনি। আজকের বাংলাদেশে যতটুকু অগ্রগতি ও উন্নতি হয়েছে, তার বেশিরভাগেরই যাত্রা শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে। মাত্র সাড়ে তিন বছর সময়ে তাঁর উন্নয়ন দর্শনের আলোকে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী বিজ্ঞানচিন্তা, সর্বজনীন দর্শন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফলে হেনরি কিসিঞ্জারের তুলনা করা সেই তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ আজ বিশে^র বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে দেশ লক্ষ্যচ্যুত হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সঠিক পথে ফিরেছি। বঙ্গবন্ধুর দেখানো স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণকে রাজনৈতিক মুক্তি প্রদান করেন, আর বঙ্গবন্ধুকন্যা তাঁর সুযোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে দেশের জনগণকে অর্থনৈতিক মুক্তি প্রদান করার মাধ্যমে বিশ্বসভায় বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিকে উন্নয়নশীল এবং মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং মানব উন্নয়ন সূচকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়েছেন। সমগ্রবিশ্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রত্যক্ষ করছে ও প্রশংসা করছে। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে তিনি বিশ্বমঞ্চের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমান গ্রন্থে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ, দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্বের বদৌলতে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাওয়ার বাস্তব চিত্র বিভিন্ন প্রবন্ধের মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়েছে।