হিফজের বিভাগের সিলেবাস/নেসাব হিফজ সিলেবাস/নেছাবের বিষয় হবে মোট চারটি। যথা- ১। হিফজুল কুরআন : হৃদর ও তারতীল উভয় প্রকারে আমলী তাজবীদসহ ৩০ পারা কুরআনে কারীম মুখস্থ করা। ২। তাজবীদ : গ্রহণযোগ্য তাজবীদের কিতাবসমূহের মাধ্যমে তাজবীদের সংজ্ঞা/মাসআলাহসমূহ মুখেমুখে মুখস্থ করা সিফাতসহকারে। ৩। তাহযীব : ইমান-আকীদা ও আমল আখলাক : শিক্ষার্থীদের ইমান-আকীদা ও আমল-আখলাক গঠন করা। এ জন্য একটি ঘণ্টাও চালু করা যেতে পারে । (খ) আদইয়ায়ে মাসনূনাহ : আদইয়ায়ে মাসনূনাহ মুখেমুখে মুখস্থ করানো । ৪। জরুরি মাসায়িল : জরুরি মাসায়িল মুখস্থ করাতে/শেখাতে হবে। জরুরি মাসায়িলের মধ্যে অজু, গোসল, তায়াম্মুম, পানি, নাজাসাত (নাপাক), এস্তেঞ্জা, আজান, ইকামাত, নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, কুরবানী, আকীকাহ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এসো ইসলাম শিখি সিরিজের কিতাবগুলো (০ - ৩) বা সমপর্যায়ের কোনো কিতাব অবলম্বনে এগুলো শেখাতে হবে। শ্রেণিশিক্ষকের করণীয় : দৈনিক সবক, সাত সবক, আমুখতা দায়িত্ব ও গুরুত্বসহকারে শোনা এবং দৈনন্দিন তিলাওয়াত ও নামাজে তেলাওয়াতের হিসাব নেওয়া। সাপ্তাহিক ও মাসিক তথ্য পূরণ করার জন্য যথাযথভাবে তদারকি করা। মাসিক তথ্য পূরণ করার সময় মন্তব্যের ঘর অবশ্যই পূরণ করা। অভিভাবকের করণীয় : সন্তানের পড়ালেখার প্রতি আন্তরিক ও যত্নবান হওয়া। তার চালচলন ও আমল আখলাকের প্রতি সতর্ক ও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখা। সময় যাতে কোনোভাবে নষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রাখা। সাপ্তাহিক ও মাসিক তথ্য ও মন্তব্য যা শ্রেণিশিক্ষক পূরণ করেছেন, তা পাঠ করে স্বাক্ষর দেওয়া। এ ক্ষেত্রে শ্রেণিশিক্ষক কোনো দায়িত্ব দিয়ে থাকলে তা গুরুত্বসহকারে পূরণ করা। বিশেষ করে অনাবাসিক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে উপরিউক্ত দায়িত্ব গুরুত্বসহকারে পালনের চেষ্টা করা ।