।। বই থেকে কিছু কথা ।। রিজিকের বিষয়টি অত্যত গুরুতর এবং জটিল। কেননা ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গিতে রিজিকের বিষয়টি বুঝে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। রিজিকের মালিক কে, মানুষ না অন্য কেউ; কোনো পীর-মাশায়েখ কি রিজিকের মালিক, নাকি অফিসের বস; কে আপনাকে আমাকে রিজিক নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ করেন? কখনও কি ভেবে দেখেছেন? আপনি এক বছরে কত টাকা আয় করবেন, কোন খাবার কতটুকু খাবেন, সবকিছুই এক আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। সব প্রাণীর রিজিকের মালিক তিনি। কারও রিজিক কমানো-বাড়ানো সবই তার এখতিয়ার; মানুষের রিজিক মানুষ কমাতে পারে না। যতটুকু আল্লাহ নির্ধারন করেছেন, ততটুকুই কেবল মানুষ ভোগ করতে পারে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ অসংখ্য জায়গায় স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন কেবল তিনিই রিজিকের মালিক। এমনকি রিযিকের দায়িত্ব আল্লাহ তাআলা নিজের উপর নিয়ে নিয়েছেন। যেমনটি পবিত্র কুরআনে কারীমে আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দিয়েছেন— وكاين من دابة لا تحمل رزقها الله يرزقها وإياكم وهو السميع العليم. এমন অনেক জন্তু আছে, যারা তাদের খাদ্য সঞ্চিত রাখে না। আল্লাহ তায়ালাই রিযিক দেন তাদেরকে এবং তোমাদেরকেও। তিনি সর্বশ্রোতা সর্বজ্ঞ। (সূরা আনকাবৃতঃ আয়াত নং-৬০) অনেক মানুষ মনে করে থাকে— যদি এবাদত-বন্দেগি নিয়ে পড়ে থাকি তাহলে রুজি রোজগারের ব্যবস্থা কি হবে? তাই এবাদত-বন্দেগি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র রিযিকের পিছনে ঘুরে বেড়ায়। মনে মনে চিন্তা করে— এখন যা উপার্জন করার উপার্জন করে নেই। পরবর্তীতে এবাদত করা যাবে। অন্যথায় পরবর্তী পর্যায়ে জীবন নির্বাহ কিরূপে হবে? তাই এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা জানিয়ে দিয়েছেন যে, অর্জিত আসবাব পত্রকে রিজিকের যতেষ্ঠ কারণ মনে করা ভূল ।