ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা কবি হাবিব সিদ্দিকী’র ‘কলমে স্বরচিত’ পাণ্ডুলিপি পাঠ শেষে আমার মনে হয়েছে তাঁর দষ্টিভঙ্গি নব্বই দশকের কবিদের চাইতে খানিকটা ভিন্ন। কেননা প্রত্যেক কবির মনোজগত নির্মাণে তার চিন্তা-চেতনা-উপলদ্ধি বিশেষ এক ভূমিকা রাখে। কবি তার কবিতার শরীর নির্মাণে কি জাতীয় শব্দচয়ন করবেন তা নির্ভর করে তাঁর সাংস্কৃতিক পরিভাষা এবঙ তাঁর একান্ত নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির উপর। কবি হাবিব সিদ্দিকী’র ‘কলমে স্বরচিত’ প্রন্থে সর্বমোট চল্লিশটি কবিতা গ্রন্থিত হয়েছে। নির্মাণকৌশলের কারণেই তাঁর কবিতাগুলো অন্য সবার চাইতে ভিন্ন। তাঁর কাব্যভাষা তাকে চিনে নিতে সাহায্য করে; কেননা তা একান্তই তার নিজস্ব। কবিতার সাথে তার বন্ধুত্ব নিবিড়। শব্দচয়নে কিংবা উপমা উৎপ্রেক্ষা ব্যবহারে তিনি যেকো ঝিনুকের ভেতরে মুক্তো লুকিয়ে রাখেন। কল্পনার বিশাল ক্যানভাস জুড়ে তিনি বাস্তবের রঙ ছড়ান নিপুন শিল্পীর মতো। তাঁর প্রকাশভঙ্গি সহজ, সরল বলেই কবিকণ্ঠে উচ্চরিত হয়............... এ কথা অনস্বীকার্য যে কবিতা নিয়ত পরিবর্তশীল, আর একজন নিষ্ঠাবান কবির কাজই হচ্ছে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নিজেকে একাত্ম করা, তাহলেই পাঠক এবং কবির মাঝে সেতুবন্ধন সুদৃঢ় হয়, পাঠক খুঁজে পান কবিতার কালজয়ী স্বাদ। ‘কলমে স্বরচিত’ কাব্যগ্রন্থে প্রণিত গদ্যছন্দের ধাচে নির্মিত কবিতাগুলো খানিক সময়ের জন্য হলেও পাঠক চিত্তের অমল-ধরল পালে নির্মল প্রশান্তি বয়ে আনবে এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত। জাফরুল আহসান