আত্মশক্তিতে বিশ্বাসী মানুষ মাত্রেই স্বাধীন। সে কারো অধীনতা মানে না। তাই সচেতন ও স্ববশ্য মানুষের প্রথম উচ্চারণ স্বাধীনতা ও আত্মমুক্তি। এই বোধে প্রাণিত বাঙালি ব্যক্তিক ও সমষ্টিক পর্যায়ে স্বাধীনতা চেয়েছে। আর পরিণত পর্বে বাঙালির স্বাধীন সত্তার প্রমিত রূপকার সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর ডাকে যে বাঙালি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাঁদের সকলের কছে আমরা চিরঋণী। সেই জানা-অজানা সকল শহিদের অস্তিত্ব ছড়িয়ে আছে বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমি ও মৃত্যুঞ্জয় অস্তিত্বে। বাংলাদেশের শনাক্তকৃত বধ্যভূমিগুলোতে তার প্রমাণ বিধৃত রয়েছে। ড. সেলিনা রশিদের এই গ্রন্থ তার প্রামাণ্য দলিল। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার ও গণহত্যা চালিয়েছে তার বিশাল ক্যানভাস এই গ্রন্থ। বাংলাদেশের প্রতি ইঞ্চি মাটিই একেকটি বধ্যভূমি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত গণহত্যা, বধ্যভূমির তথ্য ও বধ্যভূমির পবিত্র মাটি ড. সেলিনা রশিদ সারা দেশ ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করেছেন। তারপর তিনি তা সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করেছেন তার নিজের উদ্যোগে গড়ে তোলা এক ব্যতিক্রম জাদুঘরে। বইটি মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানার জন্য নতুন প্রজন্মের কাছে সমধিক গুরুত্বপূর্ণ। জাতিসত্তার কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমি