"বই" অতীত ও ভবিষ্যতের সাথে বর্তমানের একটা নিবিড় সেতু বন্ধন। বইয়ের প্রতি মানুষের ভালোবাসাই মানুষকে, মানুষের কল্যাণে বেশি আকৃষ্ট করে। আর এ বইয়ের মধ্যেই দৃশ্যমান সাহিত্য কর্ম। সাহিত্য, জীবন ও সমাজের কথা বলে। অপরদিকে, উপন্যাস সাহিত্যেরই একটা সৃষ্টিশীল শিল্পকর্ম। উপন্যাসের প্রধান উপাদান পাঁচটা যথাঃ ১/ঘটনা ২/চরিত্র ৩/সংলাপ ৪/ভাষা ও ৫/ঔপন্যাসিকের জীবন দর্শন । তাই, উপন্যাস যুগ যুগ ধরে মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে, শান্তির বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে প্রতিটা মানুষের ঘরে ঘরে। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার মধ্যে উপন্যাস সর্বাধুনিক ও সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় শাখা। গদ্যে লেখা দীর্ঘ বর্ণনাত্মক কথাসাহিত্যের প্রকৃত উদাহরণ উপন্যাস। উপন্যাসের রূপ হয় অত্যন্ত নমনীয় ও মিশ্র। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযোদ্ধা ও ভালোবাসা যে কতো মধুর এবং বঙ্গবন্ধুকে হারানোর ব্যথার সাথে, ভালোবাসার মানুষকে হারানোর ব্যথা যে এক ও সমান যন্ত্রণাদায়ক, তা-ই আমি এ উপন্যাসে ফুঁটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। ১৯৭১ ইং সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের দাম কেউ দিতে পারবে না, পারার কথাও না! বাংলাদেশ সৃষ্টিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অবদান সমগ্র বিশ্বে সমাদৃত। তাই, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য তৈরি করা আমাদের জন্য গৌরবের ব্যাপার। "বঙ্গবন্ধু"র মতো মহান নেতার ভাস্কর্য তৈরি করার মতো সামর্থ্য আমার নেই। যদি থাকতো, তবে বাস্তবে আমি তৈরি করে দেখাতাম। ফলে কল্পনাতে আমি, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস ট্রেন, বঙ্গবন্ধু রেসিডেন্সিয়াল হোটেল ও বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য সৃষ্টি করেছি। বঙ্গবন্ধু", বাঙালির জন্য যা করেছে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়! তারপরও, যতটুকু পেরেছি করার চেষ্টা করেছি। এ মহান জাতির পিতার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করার সুযোগ আমার হয়নি। তাই, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির উদ্দেশ্যে লেখা আমার নিম্নোক্ত কবিতাটা "বঙ্গবন্ধু"র নামে উৎসর্গ করলাম।