জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের পরিমার্জিত শিক্ষারুন ও নির্দেশনা অনুযায়ী এবং সৃজনশীল প্রকাঠামো অনুসারে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির 'তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি' বইটি রচনা ও স্যাদনাকরত যথাসময়ে প্রকাশিত হওয়ায় মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট চিরকৃতজ্ঞ। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড সময়ের চাহিদার কথা বিবেচনা করে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির সকল বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য 'তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি'র ১০০ নম্বারের আবশ্যিক বিষয় হিসেবে শিক্ষা পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করেছে। যাতে সকল শিক্ষার্থী ন্যূনতম আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারে সেই লক্ষ্যে। এছাড়া তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তির বিশাল সম্ভাবনা ও আলোকে ঘড়িয়ে দিয়ে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি ও উহার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে। তাই বইটিতে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির প্রিয় শিক্ষার্থী ও সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলীর প্রয়োজনীয় চাহিদা ও সমস্যাগুলোকে অত্যন্ত যত্ন ও অন্তরিকতার সাথে বিবেচনা করে সিলেবাসের প্রতিটি বিষয়কে সুনিপুণভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি অধ্যায় রচনার ক্ষেত্রে শিক্ষাক্রমে উল্লিখিত বিষয়বস্তু, শিখনফল ও নির্দেশনার প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যাতে অধ্যয়ন শেষে শিক্ষার্থীরা শিখনফল অনুযায়ী সহজেই বিষয়বস্তু আয়ন্ত করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে কারিকুলামের বাইরে কিছু বিষয় আলোচনা করা হয়েছে, যাকে শিক্ষার্থীরা পাঠ বিষয়বস্তু ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হয়। বর্তমান পাঠ্যক্রমে সৃজনশীল পদ্ধতি এবং বিষয়বস্তুর পুনর্বিন্যাস বাস্তবমুখী হওয়ায় কতকগুলো নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তর মুখশ করে পরীক্ষায় পাস করার দিন আর এখন নেই। তাই এখন একজন শিক্ষার্থীত ভালো ফল নির্ভর করবে বিষয় নিয়ে তার নিরন্তর চিন্তা ও লেখার চর্চার উপর। শিক্ষার্থীদের এ চাহিদার কথা বিবেচনা করে ও পাঠ্যসূচির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সাম্প্রতিক তথ্য, উপাত্ত এবং শিভার্থীদের বয়স, মেধা, সামর্থ্য ও গ্রহণক্ষমতা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ছক, চিত্র, উদাহরণ, গাণিতিক সমস্যার সমাধান, পাঠ সহায়ক আন ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তর, বহুনির্বাচনী প্রশ্ন এবং সুপার প্রশ্নের মাধ্যমে সহজ-সরল ও প্রাঞ্জলতাযায় প্রতিটি অধ্যায়ের বিষয়বস্তু উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়া ব্যবহারিক সমৃদ্ধ অধ্যায়গুলো এমনভাবে রচিত হয়েছে যেন তত্ত্বীয় অংশ পড়ার সাথে সাথে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক বিষয়গুলোও আয়ত্ত করতে পারে, তাই বাবহারিক অংশও এইসাথে সংযোজন করেছি। উদরস্থ বইটিতে বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত 'ব্যবহারিক বাংলা অভিধান'-এর বানান রীতি অনুসরণ করা হয়েছে। যেকোনো প্রশ্নই একটি চলমান প্রক্রিয়া; তদপুরি তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি ক্রমাগত পরিবর্তনশীল। এজনা। সম্মানিত সহকর্মী ও শিক্ষকবৃন্দের সুচিন্তিত পরামর্শ ও মন্তব্য ভবিষ্যতে বইটির মানোন্নয়নে যথেষ্ট সহায়ক হবে। তাই যেকোনো গঠনমূলক নির্দেশনা ও পরামর্শ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হবে পরবর্তী সংস্করণে।