ব্রাইটন হোটেলের বৈঠকখানায় ডক্টর সারাসিন আরাম কেদারায় শরীর এলিয়ে দিয়ে একটা খবরের কাগজের ওপর চোখ বুলাচ্ছেন। ‘রক্তকণিকার গণকযন্ত্র' নামে তাঁর লেখা একটা প্রবন্ধ খবরের কাগজটার পাতায় ছাপা হয়েছে। সেটার ওপরেই তিনি আগ্রহ ভরে চোখের মণি দুটো বুলাচ্ছেন। তাঁর বয়স পঞ্চাশের কাছাকাছি। এক নজরে দেখলেই মনে হয় তিনি মানুষ হিসাবে একদম সাচ্চা। রক্তকণিকার গণকযন্ত্র ড. সারাসিন-এরই সদ্য আবিষ্কৃত একটা যন্ত্র। ড. সারাসিন যখন খবরের কাগজের পাতায় মন-প্রাণ সঁপে দিয়ে তম্ময় হয়ে আছেন ঠিক তখনই হোটেলের এক বয় এসে তাঁর হাতে একটা ভিজিটিং কার্ড দিল। কার্ডটার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করলেন। তাতে ছাপা রয়েছে, ‘ডব্লিউ. এইচ. শার্প জুনিয়র, সলিসিটর, চুরানব্বই সাদামটন রো, লন্ডন।' ড. সারাসিন-এর অনুমতি পেয়ে কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই এক তরুণ ঘরে ঢুকে নমস্কার জানাল। শীর্ণ চেহারা। এক কথায় বলা চলে চলন্ত একটা কঙ্কাল ঘরে ঢুকল। আগন্তুক তরুণ নমস্কার জানিয়ে মাথার টুপি আর হাতের ব্যাগটা মেঝেতে রাখল। ড. সারাসিন বসতে বলার আগেই সে চেয়ারটা টেনে বসে পড়ল। কোনোরকম ভূমিকার অবতারণা না করেই তার বক্তব্য শুরু করল, ‘আমার নাম উইলিয়ম হেনরি শার্প জুনিয়র। বিলোজ গ্রিন শার্প অ্যান্ড কোম্পানির পক্ষ থেকে আপনার সঙ্গে কিছু জরুরি কথা বলতে এসেছি। ভালো কথা, আমি ডা. ফ্রাঁসোয়া সারাসিন-এর সঙ্গেই কথা বলছি তো? আর আপনি তো দোয়াই-এর অধিবাসী, ঠিক কিনা ?'
Jules Gabriel Verne (8 February 1828 – 24 March 1905) was a French novelist, poet, and playwright best known for his adventure novels and his profound influence on the literary genre of science fiction. Verne was born to bourgeois parents in the seaport of Nantes, where he was trained to follow in his father's footsteps as a lawyer, but quit the profession early in life to write for magazines and the stage. His collaboration with the publisher Pierre-Jules Hetzel led to the creation of the Voyages extraordinaires, a widely popular series of scrupulously researched adventure novels including Journey to the Center of the Earth (1864), Twenty Thousand Leagues Under the Sea (1870), and Around the World in Eighty Days (1873).