ফ্লাপে লিখা কথা জন্ম ১৯৮৩ সালের ১৪ আগস্ট । নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায়। দাদাবড়ি নেত্রকোনার কুলিয়াঢী । নানাবাড়ি ফতেপুর।
পড়াশোনা বাংলা সাহিত্যে। অনার্স ,এমএ। পত্রিকায় সাংবাদিকতা দিয়ে কর্মজীবনে প্রবেশ। এরপর বেসরকারে টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন এবং পরে একুশে টেলিভিশন যোগদেন।
বর্তমানে বাংলাভিশনে অনুষ্ঠান বিভাগে প্রযোজক পদে দায়িত্বপ্রাপ্ত। লেখালেখির শুরু ছোটদের ছড়া দিয়ে । লিখছেন গীতিকবিতাও। তাছর লেখা উল্লেখযোগ্য গীতিকবিতা -সাবিত্রী রায়, অনিমেষ, স্পর্শ, স্কুল জীকবন, 9F , ফ্রি স্কুল স্ট্রিট।
প্রকাশিত ছড়ার বই- ছড়ার বই তো চলে না (২০০৯), ফুলবাবু-ভুলবাবু (২০১০), জো হুকুম মহাশয় জো হুকুম আজ্ঞে (২০১১)।
ভূমিকা ‘আপনার চিত্তচাঞ্চল্য এত প্রকট কেন?’ বা ‘এত অস্থির কেন আপনি?’ -এই প্রশ্ন করা হয়নি তাঁকে। করলে হয়ত এর উত্তরে তিনি বলতেন যে, ‘আমার দর্শনতাত্তিক জ্ঞান সর্বদাই আমাকে তাড়িত করে। বেঁচে থাকার স্বল্পস্থায়িত্ব আমার চেতনাকে নাড়া দ্যায়, তাড়না দ্যায় সৃষ্টির , ভালো কাজের, যা এর আগে আর কেউ করেনি।’
উপলব্ধিজাত এই অব্যক্ত উত্তরটিকে একজন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। একজন কর্মোন্মাদ মানুষ। অবশ্য তাঁর যাবতীয় উন্মত্ততাকে উসকে দিয়ে এই নিয়মসিদ্ধ সমাজে তাঁকে বেঁধে রাখাটা বেশ দুরূহই বটে! নগরতান্ত্রিক স্কেচে আঁকাটাও দুঃসাধ্য প্রায়।
তাই কিছুটা বায়বীয় শৃঙ্খল আর কিছুটা শৈল্পিক উদারতার দেয়ালে বাঁধা হয়েছে তাকে। আর এই বাঁধা মানেই ‘বাঁধা পড়ে যাওয়া’ নয়। নয় বিবেচনাধীন সীমাবদ্ধতাও। যা বলার ছিল, তার সবটুকু ঠিক ঠিকই পৌঁছে গ্যাছে দেয়ালের কানে। তার সবকটি প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে পড়েছে বাতাসের স্তরে স্তরে। এর কণায় কণায় মিশে গ্যাছে তাঁর জীবনাচরণ, বেদনাবোধ, প্রেম-অপ্রেম, চিন্তা-অচিন্তার অপাঠ্য কথকতা।
এবার এর সবটুকু দায় পাঠকের। যে যার চোখে যেভাবে দেখবেন, যেভাবে আঁকবেন, সেভাবেই বাঁধা পড়বে ভিন্ন ভিন্ন একটি নাম; ভিন্ন ভিন্ন একজন মানুষ, মোস্তাফা সরয়ার ফারুকী। সাজ্জাদ হুসাইন।