লেখা ছাড়া অন্য কোন উপায়ে যে-সব কথা জানানাে যায় না সেই কথাগুলি জানাবার জন্যই। আমি লিখি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই। কথাকে শিরােধার্য করে তৌহিন হাসান তার গল্পের ভুবন নির্মাণ করেন। তরুণ এই লেখক। তার সময়কে ধারণ করতে গিয়ে বিভিন্ন। মাধ্যমে কাজ করছেন, যে কথা তিনি চিত্রকলায় উপস্থাপন করতে পারেননি, সেটা কবিতায় কবিতায় যে অনুভূতি ধরতে পারেননি সেটা তিনি গল্পের শরীরে গেঁথে চলেছেন নিরলস। কবিতার অন্তর্জগতে যেমন তিনি বিচরণ করেন। রাষ্ট্রের ঘুণপােকা ও বিবিধ ঝিঝি গল্পগ্রন্থে। নিম্নবর্গের মানুষের টুকরাে টুকরাে ইতিহাস অভিজ্ঞ গদ্যশিল্পীর মতাে নিজস্ব ভাষাভঙ্গিতে তিনি লিপিবদ্ধ করেছেন। আবার তার কোন কোন গল্পে আধুনিক উত্তরকালের বিভিন্ন তত্ত্বের প্রবণতার ঘ্রাণও মেলে। বাংলা তথা বিশ্বসাহিত্যের অনেক পূর্বসূরি তার মেজাজ নির্মাণে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে যার আভাস পাওয়া যায় তার লেখা থেকে। যে কারণে কোলাজ-মন্তাজ সবই তার লিখন শৈলীতে এসে মিশেছে সাবলীল ভঙ্গিতে।আর এসব নিয়েই সমকালীন বাংলাদেশকে। তিনি চিত্রিত করেছেন তার বিভিন্ন গল্পে।তাই বলা যায় প্রস্তুতিপর্বের এই গল্পগুলাে যেন আমাদের সময় ও সমাজ ব্যস্ততারই আয়না।
জন্ম ১৯৭৭ সালে শরীয়তপুর জেলায় । বাবার কর্মসূত্রে ঘুরেছেন দেশের নানা অঞ্চলে। এছাড়াও তিনি কাজ করছেন চিত্রকলা, কবিতা, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র মাধ্যমে। পেশাগতভাবে কাজ করেছেন দৈনিক আজকের কাগজ ও দৈনিক সংবাদে। লিখেছেন দেশের প্রথম সারির দৈনিক সাহিত্য সাময়িকী ও ছােটকাগজে।। তার প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ ‘নজরুলের পত্রাবলী: বিবিধ প্রসঙ্গ' ২০০১