যেসব প্রবন্ধ নতুন কোনো ধারণা সৃষ্টি করতে পারে, সেগুলো সাধারণত গবেষণা-প্রবন্ধ নামে পরিচিতি পায়। এসব প্রবন্ধের গঠনে কমবেশি স্বাতন্ত্র্য থাকে। কোনো একটা লক্ষ্য বা মোক্ষম প্রশ্নকে সামনে রেখে লেখাটা শুরু হয়। নানা ধরনের যুক্তি, তথ্য ও প্রমাণ দিয়ে প্রশ্নটির জবাব অনুসন্ধানের চেষ্টা থাকে। অনুসন্ধানের ফলাফল উপস্থাপনে রক্ষা করা হয় কালগত গুরুত্বগত নানা ধরনের পরম্পরা। প্রবন্ধকারকে হতে হয় যথাসম্ভব নির্লিপ্ত। কোনো রকম আদর্শবাদ দিয়ে প্রভাবিত না হয়ে তাঁকে বিচার-বিশ্লেষণে মনোনিবেশ করতে হয়। প্রবন্ধের মধ্যে যেসব যুক্তি-তথ্য-প্রমাণ হাজির করা হয়, তার উৎস নির্দেশ করা গবেষণা-প্রবন্ধের একটা বাধ্যবাধকতা। কোনো ধরনের স্তেয়তা বা প্লেইজারিজমের অভিযোগ যাতে না ওঠে, সে ব্যাপারেও প্রবন্ধকারকে সতর্ক থাকতে হয়। গবেষণা-প্রবন্ধের এসব বৈশিষ্ট্যের কথা মনে রেখে আমার এ পর্যন্ত লেখা প্রবন্ধগুলোর মধ্য থেকে মাত্র চোদ্দটি প্রবন্ধ এখানে সংকলিত হলো। এগুলোর মধ্যে ঈশ^রচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী আবদুল ওদুদ, কাজী নজরুল ইসলাম, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু, মুহম্মদ আবদুল হাই এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে আগ্রহব্যঞ্জক এগারোটি প্রবন্ধ এখানে স্থান পেয়েছে। বাকি তিনটি প্রবন্ধের একটি গাজির গান নিয়ে, একটি পালি ভাষার সংখ্যাশব্দের সঙ্গে বাংলা সংখ্যাশব্দের সম্পর্ক নিয়ে এবং একটি বাংলাদেশের গ্রামনাম নিয়ে।