আলহামদুলিল্লাহ। যিনি আমাকে ৩টি যৌথকাব্যগ্রন্থ এবং একটি একক কাব্যগ্রন্থ "কবিতার স্মারকলিপি" প্রকাশ করার তৌফিক দান করেছেন। ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন ছিল আমি সাহিত্য ও কাব্য রচনায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করবো। কিন্তু বিবিধ প্রতিকূলতায় তাহা আর হয়ে উঠেনি। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের শেষ সীমান্তে আমার বসবাস। যেখানে শুদ্ধ সাহিত্য চর্চা করা কল্পনাতীত। আমি বিগত ২০১৮ ইং সাল হতে কয়েকটি আন্তর্জাতিক অনলাইন সাহিত্য গ্রুপের সহিত সংযুক্ত হই। আল্লাহর অশেষ কৃপায় কবি মোহাম্মদ আলমগীর মহোদয়ের সঠিক দিক নির্দেশনায় কাব্য জগতে বিচরণ শুরু করি এবং আন্তর্জাতিক সাহিত্য পরিষদ সমূহে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার ফলে আজ আমি কিছুটা সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। পরবর্তীতে কবি মোঃ ইব্রাহিম হোসেন—রাজশাহী মহোদয়ের সম্পাদনায় যৌথকাব্যগ্রন্থ " "বঙ জাতির বঙ পিতা", "বাংলা ও বাঙালি" এবং "রূপসী পল্লী', ৩টি কাব্যগ্রন্থে অংশগ্রহণ করি এবং তাহা প্রকাশিত হয়। অনলাইন ভিত্তিক কাব্যচর্চায় আমার সহধর্মিণী আমাকে যথেষ্ট উৎসাহ প্রদান করেছে। এর জন্য আমি তার নিকট কৃতজ্ঞ। আরও বেশী যাঁরা উৎসাহ যুগিয়েছেন—তাঁরা হলেন আমার অনলাইনের সহিত সংযুক্ত সম্মানিত পাঠকবৃন্দ। সকলের প্রতি রইলো আমার আন্তরিক ধন্যবাদ। আমার ক্ষুদ্র আকারে "কবিতার স্মারকলিপি" কাব্যগ্রন্থটিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কবিতা ও ছড়া রয়েছে যাহা বর্তমান সময়ের ঘটনাপ্রবাহের সহিত মিল রেখে লেখা হয়েছে। কাহাকেও কটাক্ষ বা হেয় প্রতিপন্ন করে লেখা নহে। কাহারও জীবনের ঘটনার সহিত মিলে গেলে লেখক দায়ী নহে এবং তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কাব্যগ্রন্থটির প্রুফ এবং প্রকাশ করার বিষয়ে কবি মোঃ ইব্রাহিম হোসেন—রাজশাহী, ভাইয়ের অবদানও কম নহে। তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ দিয়ে খাটো করবো না। তিনি ভবিষ্যতে আমার পাশে থাকবেন এই কামনাই করছি এবং প্রকাশক মহোদয়কেও জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ। কাব্যগ্রন্থটিতে ভুলভ্রান্তি হওয়া স্বাভাবিক। ভুলগুলো ক্ষমা সুন্দর ভাবে দেখার অনুরোধ রইলো। কাবগ্রন্থটি যদি পাঠক মহলে সমাদৃত হয় তবেই আমার লেখা সার্থক হবে বলে আমি মনে করি। আমি যেন আমৃত্যু কাব্য রচনা চালিয়ে যেতে পারি তার জন্য সকালের নিকট দোয়া প্রার্থী।