বাণী চিরন্তনী =========== (১) পর কর্ম সমালোচনায় মুখরিত জন,মহৎ কর্ম সাধনে কভু সৃষ্টে নাহি আলোড়ন,সমালোচক বলেই কেবল প্রসিদ্ধতা লাভ ও জ্ঞান জাহিরে থাকে নিমগ্ন,মহৎ কর্ম সাধক নিভৃতচারী,নিভৃতে করে মহৎ কর্ম নিষ্পন্ন। (২) কারো হিত করতে না পারো তো অহিত করোনা, সৃষ্টি শুধু দুর্বল হয় কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কখনো না। (৩)হৃদয়ের কিছুকথা কখনো প্রকাশ করা যায় না, ফুলবাগ মরুতে পরিণত হলে ফের সেথা ফুল চাষ হয়না। (৪) পোড়ামন যতই আনন্দ উৎসবে প্রফুল্ল থাকুক নিভৃতে ব্যথাগুলো লুকাতে নাহি পারে,তাই তো ব্যথাগুলো অশ্রু হয়েই ঝরে। (৫)অচেনা পথের পথিক যখন পায় না পথের দিশা, হস্ত ধরে চেনালে শেষে বলে পথ ছিল পোষা। (৬)চিন্তা করে বুদ্ধিনাশ নাশ করে রূপ জ্ঞান চিন্তা বড় অভাগিনী হয় চিতা দাহ সমান। (৭) জন্ম থেকে মৃত্যু অবদি জীবন করে পার তবু শেখা হয়না পুরো মনুষ্যত্বের শিষ্টাচার। (৮) বীজে ফসল ফলে মানুষের ফলে কর্মে কর্মের বীজ চিটা হলে ফল ধরেনা ধর্মে। (৯) যে মুখ আজ প্রশংসার বানে বর্ষালো ফুল চন্দন, সে মুখের বিষ বাক্যে করবে একদিন ক্রন্দন। (১০)সব শব্দের সঠিক অর্থ অভিধান খুললে পাবে,জীবন শব্দের সঠিক অর্থ শুধু জীবন অতিবাহিত শেষেই পাবে। (১১)বিশ্বাস করলে ধোঁকা দেয় না করলে বাড়ে শত্রু, বিশ্বাসের গলাটিপে মারে স্বজন অতি মিত্র। (১২) জগতজনা সবাই জ্ঞানী করে জ্ঞান চাষ, কেউ ফলায় জ্ঞানফসল কেউ ফলায় ঘাস। (১৩)মানব জীবন সুখ দুঃখের বহমান এক নদী, ভাঙা গড়ার জলে কলকল চলে নিরবধি। (১৩)সন্দেহ এমন এক অবিশ্বাস সন্দেহভাজন লোক ভালো কাজ করলেও মানুষ সহজে বিশ্বাস করেনা। লেখক জবাদুল হক জাবেদ