‘মাআরেফে হাকীমুল উম্মত’ হযরত মাওলানা শাহ মুহাম্মাদ আশরাফ আলী থানভী রহ.-এর ইসলাহী ও তাজদীদী রচনাসম্ভার থেকে চয়নকৃত বিশেষ ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তুর একটি অনন্য সংকলন। বর্তমান যুগের মানুষের ঈমান ও ইসলামের তাকাযার দিক থেকে যা অত্যন্ত উপকারী। পাঠকের জ্ঞান ও প্রজ্ঞাকে সমৃদ্ধকারী এবং তাদের অন্তর্জগৎকে আলোকিতকারী। হযরত থানভী রহ. বিশ বছর বয়স থেকে বিরাশি বছর বয়স পর্যন্ত বক্তৃতা ও লেখনীর মাধ্যমে দ্বীন ইসলামের প্রচার-প্রসারে সবিশেষ ভূমিকা রাখেন। আল্লাহর মেহেরবানীতে আকায়েদ, ইবাদাত, মুআমালাত, মুআশারাত ও আখলাক- দ্বীনের এই পঞ্চশাখায় হযরতের সর্বব্যাপী রচনা, সংকলন, ওয়ায ও বাণীসমূহ তাঁর জীবদ্দশাতেই প্রকাশিত হয় এবং সর্বমহলে ব্যাপকভাবে গৃহীত ও সমাদৃত হয়। যার সংখ্যা প্রায় এক সহস্র। হযরতের প্রামাণ্য এই কীর্তির পুরোটাই কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণসমন্বিত, যা হাকায়িক ও মাআরিফ তথা তত্ত্ব ও রহস্যজ্ঞানের নির্ভরযোগ্য ও প্রমাণসমৃদ্ধ এক সুবিশাল ভাণ্ডার। যার মধ্যে আল্লাহপ্রদত্ত হযরতের মেধা, প্রতিভা ও অন্তর্দৃষ্টির ছাপ সুস্পষ্ট। বর্তমান যুগে দ্বীন ইসলামের মুবাল্লিগ হিসাবে হযরত থানভী রহ.-এর অনন্য অবস্থান এ বাস্তবতা থেকেও প্রতিভাত হয় যে, ঈমান ও ইসলাম সম্পর্কে তথাকথিত অধিকাংশ জ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবীর মস্তিষ্কে যত ধরনের প্রশ্ন, আপত্তি, দ্বিধা ও সংশয় দেখা দেওয়া সম্ভব ছিল এবং দিয়েছে, কুরআন ও হাদীসের আলোকে তিনি সেগুলো খণ্ডন করেছেন এবং কুরআন-সুন্নাহর পূর্ণাঙ্গ প্রমাণসমূহের ইতিবাচক ব্যাখ্যা ও হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনের মাধ্যমে বাতিলপন্থিদেরকে নিরুত্তর করেছেন এবং হককে প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এটি এমন এক কীর্তি, যা মৌলিকভাবে হযরতের ‘হাকীমুল উম্মত, মুজাদ্দিদুল মিল্লাত ও মুহিউস সুন্নাহ’ হওয়ার সুস্পষ্ট প্রমাণ। এটি কেবলই মহান আল্লাহর ফযল ও করম। উপকৃত হওয়া সহজসাধ্য করার নিমিত্তে কিতাবটিকে দ্বীনের পাঁচ শাখায় ভাগ করা হয়েছে। কিতাবের পূর্ণাঙ্গ অধ্যয়ন সত্যের সন্ধানীদের জন্য পথের দিশারি এবং মারেফতের তৃষ্ণার্তদের জন্যে তৃপ্তিজনক হবে, ইনশাআল্লাহ।