নাসিম আহমেদ মূলত আবৃত্তিকার, আবৃত্তি সংগঠক ও আবৃত্তি শিক্ষক। বাংলাদেশের। স্বাধীনতা উত্তর আবৃত্তি চর্চায় তিনি বিশিষ্ট ও। বৈচিত্রগামী শুধু নন,আবৃত্তিকে একটি। নান্দনিক শিল্প-উপস্থাপন হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও জনপ্রিয় করার পেছনে তার অবদান। অনস্বীকার্য। বর্তমান কালের অনেক তরুণ জনপ্রিয় আবৃত্তিকার তারই সৃজন-প্রশিক্ষণে আজ নক্ষত্রসম উজ্জ্বল। সেই নক্ষত্রস্রষ্টা। নাসিম আহমেদ দীর্ঘদিনের প্রাজ্ঞ-অভিজ্ঞান ও মননশীলতায়, নিজস্ব ধীসম্পন্নতা ওমেধায়। উপস্থিত করেছেন আবৃত্তি শিল্পের নব । অভিজ্ঞান-অভিধান ‘আবৃত্তি প্রসঙ্গ অনুষঙ্গ। শিল্পের নব উজ্জীবিত শাখাগুলাের মধ্যে আবৃত্তি অন্যতম। এই গ্রন্থে তিনি আবৃত্তিকে। এক বিশাল পটভূমিতে দাঁড় করিয়েছেন। শিল্প হয়ে ওঠার জন্য আবৃত্তির যা কিছু। প্রয়ােজন তার সকল আলােচনাই এখানে উঠে এসেছে, ধ্রুপদী সংযােগ থেকে শুরু করে।আধুনিক বিশ্লেষণ পর্যন্ত। নাসিম আহমেদের রচনাশৈলী অনন্য বুৎপত্তিসম্পন্ন, প্রাঞ্জল, তরতাজা। এই দীর্ঘদেহী গ্রন্থে আবৃত্তিচর্চা ও আবৃত্তি শিল্পের। জন্য তাঁর প্রেম ও অপরিসীম পরিশ্রমের স্বাক্ষর বিদ্যমান। বস্তুত, আবৃত্তি পিপাসু। সকল পাঠক ও নব প্রজন্মের আবৃত্তিকারদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি অপরিহার্য গ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হবে।
জন্ম ২১ অক্টোবর ১৯৫৮, পিতা: দেওয়ান আবদুল আজিজ আহমেদ, মাতা রাজিয়া বেগম। পৈত্রিক নিবাস মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলা। শিক্ষা এমকম (ফাইন্যান্স) এলএলবি, এলএলএম পেশা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী । স্ত্রী অধ্যাপক শায়লা আহমেদ। তিন সন্তান অন্তর, কনিষ্ক, জিবরান । শিল্প-সাহিত্য সাংস্কৃতিক চর্চা করেছেন আশৈশব । আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবৃত্তি আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক । উচ্চারণ ও আবৃত্তি শিল্পকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ও আবৃত্তি শিল্পের লিটারেচার তৈরি করতে বহু গবেষণা প্রবন্ধ লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে আবৃত্তি শিল্পের ওপর কতগুলাে মৌলিক গ্রন্থ । তিনি একাধারে আবৃত্তি শিল্পী-শিক্ষক-সংগঠক ও আবৃত্তি গবেষক।