بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ إن الحمد لله والصلاة والسلام على رسول الله وعلى آله وصحبه أجمعين، أما بعد: মানবতার হেদায়াতের জন্য মহান আল্লাহ যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করেছেন। তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ হলেন মুহাম্মাদ । তাঁর উম্মত তথা মুসলিম জাতিকে হেদায়াতের জন্য মহাগ্রন্থ আল-কুরআন দান করেছেন। হাদীস বা সুন্নাত হচ্ছে কুরআনের নির্ভুল ব্যাখ্যা। কুরআন সঠিকভাবে বুঝে সে অনুযায়ী আমল করতে হলে সুন্নাহর কোন বিকল্প নেই। সুতরাং মুমিন জীবনে সুন্নাহর গুরুত্ব অপরিসীম। পক্ষান্তরে সুন্নাতকে উপেক্ষা করা, মাযহাবের তাক্বলীদ করা প্রকারান্তে রাসূল -কে প্রত্যাখ্যান করার নামান্তর। এহেন গর্হিত কাজের পরিণাম অত্যন্ত ভয়াবহ এবং এমন তাক্বলীদ করার কোনো অনুমোদন ইসলামে নেই। ইসলামের বিধান বাস্তবায়নে নিয়োজিতরা অধিকাংশই শতধাবিভক্ত। বিভিন্ন তরীকা ও মাযহাবের বেড়াজালে নিজেদের আবদ্ধ রেখে পরস্পরে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়ে বিচ্ছিন্ন জীবন-যাপন করছে। নির্দিষ্ট কোনো মাযহাবের তাক্বলীদ তথা অন্ধানুসরণের কারণে আল্লাহ প্রদত্ত অহী-র বিধানকে বাদ দিয়ে তাক্বলীদী গোঁড়ামিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। তারা নিজেদেরকে মাযহাবের প্রকৃত অনুসারী দাবি করলেও মূলত অনুসরণীয় ইমামগণের কথাকে উপেক্ষা করে তাঁদের অবমাননা করছে। কারণ প্রত্যেক ইমামই তাঁদের তাক্বলীদ করতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন। “তাক্বলীদ বিভ্রান্তি নিরসন” পুস্তকে এ বিষয়ে আলোচনা করার প্রয়াস পাব এবং জ্ঞানপিপাসুগণ তাক্বলীদের পক্ষে দলীলের জবাব পাবেন ইনশাআল্লাহ। বইটি লেখার সময়ে সার্বিক সহযোগিতা নিয়েছি হাফিয যুবায়ের আলী যাঈ এ এর বিভিন্ন প্রবন্ধ থেকে। তাছাড়া কামাল আহমাদ ভাইয়ের কিছু লেখা বইয়ের শেষে যুক্ত করেছি। আল্লাহ তাদের উত্তম জাযা দান করুন। আমীন! ব্রাদার রাহুল হুসাইন (রুহুল আমিন)