শরিফুল রাজ শুভ্র স্বপ্নবাজ বাঙ্গালী যুবক। জীবনের প্রয়োজনে পাড়ী জমায় মৌরিতানিয়ার নুয়াকশুত শহরে। কস্টের শতকোটি ধাপ পেরিয়ে পৌছে ফ্রান্সের প্যারিসে। যুদ্ধ, প্রেম কিংবা স্বপ্ন দুটো তার জীবনে চামড়ার মতো লেপ্টে রয়েছে। তারপর ছোঁয়া পায় সফলতার। সে জয় করেছে নিজের সততা দিয়ে কোটি মানুষের বিশ্বাস। সে বিশ্বাস করে স্বপ্নস্থল কিংবা যুদ্ধক্ষেত্র দুটো পৃথক। দুটোতে সমান মনোযোগ দিতে হয়। সে জানে, যে সন্তান পিতার পকেট হতে টাকা চুরি করে; বন্ধুদের সাথে নেশায় মিলিত হয়, সে সন্তান পিতার পরিশ্রমের ঘামের মূল্য বোঝে না। শুভ্র জানে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ সময় স্বল্পতার বাহানায় নিজ স্বপ্নকে খুন করছে প্রতিনিয়ত। যে যতন বেশি করে সে তত বেশি স্নিগ্ধতা প্রাপ্তি হয়। জীবনে চলার পথে শত বাধাকে পরাজিত করে, বিজয়ের মালা জয় করেছে। মৌরিতানিয়ার নুয়াকশুত শহর বা প্যারিসে যেটা সবচেয়ে সহজলভ্য সেটা হলো নারী। যৌবনের সেরা সঞ্চয় নিজের যৌবনকে হেফাজত করা। তেমনটা করেছে শুভ্র। কত সুন্দর সাবলিন ভাষায় প্রকাশ করেছে, প্রেমিক নয়, মানুষ হবার প্রত্যায়ে জন্মেছি। মুগ্ধতায় পরিপূর্ণ সম্পূর্ণ লিখাটি। প্রেয়সীর ঠোঠের চেয়ে, মনুষ্যত্ব বড়। মনুষ্যত্বের চেয়ে বড় কিছু হয় না পৃথিবীতে কিংবা শুধুমাত্র সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য পৃথিবীতে জন্ম হয়নি। জন্মেছি প্রকৃতির দেনা পরিশোধ করতে। সত্যি দারুন দারুন লিখায় ভরপুর পাঁজর। পাঁজর বড়োগল্পের মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে নতুন যোগ হলো লিপোগ্রাম বড়োগল্প। যা সত্যি কল্পনাতীত। গল্পে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে বাঙালী যুবকের সাহসিকতা , সততা দিয়ে কিভাবে জয় করা যায় বিশ্ববাসীকে। পাঁজর পাঠক মহলে সাড়া ফেলবে বলে বিশ্বাস করছি। ম স আলম
ম স আলম (মো. সারোয়ার আলম) নেত্রকোণা জেলার অন্তর্গত মদন উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি কনিষ্ঠ। মগড়া নদীর আঁকেবাঁকে, নদীর শীতল স্পর্শে সারাদিন সাঁতার কেটে বেড়ে উঠেছেন তিনি। নেত্রকোণা জেলার সাহিত্যের শত শত উজ্জ্বল নক্ষত্রকে অনুপ্রেরণা করেই তার বেড়ে ওঠা। নতুন সৃষ্টি তার নিকট সবচেয়ে প্রিয়।